বয়সকালে ছানির সমস্যা অনেকেরই হয়। আর এই ছানির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। কিন্তু ছানি কাটাতে গিয়েই খোয়াতে হল তার চোখ। বিষয়টি শুনে রীতিমতো হতবাক হচ্ছেন সকলেই। আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্যি। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণেই এমন মাশুল দিতে হল বৃদ্ধাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে মেডিকেল কাউন্সিলের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোর, কী বললেন পার্থ...
সূত্র থেকে জানা গেছে চলতি মাসের ৬ তারিখে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঝুনু দত্তকে। বৃদ্ধার বয়স ৬৫ বছর। তার বাঁ চোখটা পুরো ছানিতে ঢেকে গিয়েছিল। যার কারণে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রৌঢ়া। তার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ছিল বৃদ্ধার। ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে সেইমতো ১১ তারিখে ছানি অপারেশন করা হয় ঝুনুর। অপারেশনের পর থেকেই চোখের অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় বৃদ্ধার। হাসপাতালে সেই কথা জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি।
অবশেষে রাতের বেলা ডাক্তার এসে দেখে যান ঝুনু দেবীকে। এমনকী এও বলেন তার চোখের কোনও সমস্যা নেই। তারপর ওই হাসপাতালের অন্য এক চিকিৎসক দেখে জানান তার চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পরও আরও কয়েকদিন চলে চিকিৎসা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এরপর রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলও শেষমেষ প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই পুরোপুরি বাদ দিতে হয় চোখ। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অমনকি হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মন্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়।