একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে শোভন-বৈশাখীর ভূমিকা কী হবে? সেই কর্মসূচি ঠিক করতে শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে রাতভর বৈঠক করেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। রাজ্য বিজেপিতে তাঁদের অবস্থান কী হবে? কীভাবে তাঁরা কাজ করবেন তা নিয়ে রাতভর বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন। রাতভর চলা এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় সবই ঠিক ছিল। কিন্তু, সকালের একটা ফোনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সব আলোচনায় জল ঢেলে দিল।
আরও পড়ুন-'দিলীপ ঘোষ একটা ভাইরাস', তাঁকে তৃণমূলের বুথ কমিটিতে যোগদানের আহ্বান অনুব্রতর
শুক্রবার রাতভর বৈঠকের পর কী হয়েছিল সকালের ফোনে? জানাগেছে, শনিবার সকালে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ফোন আসে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। রবিবার তাঁকে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি তাঁকে এই অনুষ্ঠানে থাকতে বলেছেন। কিন্তু, সেই ফোনে বৈশাখী আমন্ত্রণ পাননি। এর জেরেই নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয় শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে। কেননা, শোভন-বৈশাখী দুজনই বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য। শোভনকে ফোন করলে বৈশাখীকে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। কিন্তু তা হয়নি। ফলে, তাঁদের সঙ্গে রাতভর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনার ফলপ্রসূ হলেও শনিবার সকালে ফোনের পর অবস্থান বদলাতে শুরু করেন শোভন-বৈশাখী।
আরও পড়ুন-পরিবারের অজান্তেই রোগীকে 'পুড়িয়ে দিল' হাসপাতাল, খড়দহ হাসপাতালে নজিরবিহীন কাণ্ড
শোভন-বৈশাখী দুজনই বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হওয়ায়, একজন আমন্ত্রণ পেলে অন্যজনকেও আমন্ত্রণ জানানোর কথা। কিন্তু, তাঁদের ক্ষেত্রে সেটা ঘটেনি। তাহলে কী বৈশাখীকে নিয়ে উদাস বিজেপি? শোভনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপিতে শোভন-বৈশাখী থাকলেও তাঁদের একসঙ্গে দলের কাজ যেন না করেন। তাঁদের মধ্যে বিভাজন ঘটনারো চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপি সংস্কৃতি সেলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের অবশ্য দাবি, কারও মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা উদ্দেশ্য নয়। দল যাঁকে প্রয়োজন মনে করেছে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।