পুলিশের গাড়িতে আগুন, মুরলিধর সেন লেনে তাণ্ডব, হাওড়া ময়দানে জল কামান নিক্ষেপ

পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পালটা অভিযোগ ওঠে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নিজেরাই নিজেদের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। সারা দিন কলকাতার নানা এলাকা সাক্ষী থাকল বিজেপি পুলিশ খন্ডযুদ্ধের। 

Parna Sengupta | Published : Sep 13, 2022 12:29 PM IST

হাওড়া ও কলকাতা মিলে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়। লালবাজারে একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হন, আহত হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত, স্বপন দাশগুপ্ত। আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মীও। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পালটা অভিযোগ ওঠে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নিজেরাই নিজেদের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। সারা দিন কলকাতার নানা এলাকা সাক্ষী থাকল বিজেপি পুলিশ খন্ডযুদ্ধের। 

মুরলিধর সেন লেন

মুরলিধর সেন লেনে পুলিশের তাণ্ডবে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। রাজ্য বিজেপি-র দফতর মুরলিধর সেন লেনে। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চার্জের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আহত হন একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক। মাথা ফাটে বিজেপি নেত্রী মিনা দেবী পুরোহিতের। মাথায়, বুকে, পিঠে পুলিশের লাঠির বাড়ি পড়ে। জামা খুলে পুলিশের লাঠির চিহ্ন দেখালেন বিজেপি কর্মীরা

লালবাজার

বিজেপির চতুর্থ একটি মিছিল পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের কাছে। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। এদিকে, লালবাজারের কাছে এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পিসিআর ভ্যান। ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কার্যত ভষ্মীভূত হয়ে যায় পুলিশের গাড়ি, পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি।  আতঙ্কে এলাকার ব্যবসায়ীরা বন্ধ করে দেন দোকান। এলাকা ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। 

হাওড়া ময়দান

হাওড়া ময়দানে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি-র কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, স্বপন দাশগুপ্তরা। জল কামানে কাঁধে চোট পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সুকান্ত। পুলিশের লাঠি পেটা থেকে বাঁচেননি স্বপন দাশগুপ্ত। দলীয় কর্মীর চেষ্টায় কোনওমতে রেহাই পান তিনি। এই ঘটনার নিন্দা করেন স্বপন দাশগুপ্ত। সমালোচনা করেন সুকান্ত মজুমদারও।

হাওড়া ব্রিজ 

হাওড়া ব্রিজের মুখে রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড করে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজ সকাল থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পায়ে যাতায়াতের রাস্তা খোলা রাখা হয়েছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফুটপাতও বন্ধ করে দেয়। হাওড়া থেকে মিছিলকে কলকাতা ঢুকতে না দিতে এই ব্যবস্থা করে পুলিশ। পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি। গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা রাজু বিস্তা, জন বার্লা ও দেবশ্রী চৌধুরীর। 

সাঁতরাগাছি

সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার, পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। উন্মত্ত জনতার হাতে ছিল ইট-মার্বেলের টুকরো, বাঁশ। উন্মত্ত জনতা রীতিমত তাড়া করে পুলিশকে। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে আশ্রয় নেয় পুলিশের দলটি। স্টেশনের বাইরে এলেই উন্মত্ত বিজেপি কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাকপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়। রাস্তার একদিকে ব্যারিকেড খোলার চেষ্টা চালায় বিজেপি কর্মীরা। সংঘর্ষে পুলিশেরও একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অমানুষিক নিষ্ঠুরতার অভিযোগ কর্মীদের। জল কামান ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার কেন করল পুলিশ, প্রশ্ন বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের

Read more Articles on
Share this article
click me!