বিজেপি নেতা প্রীতম সরকার পুরভোটের টিকিট বিক্রি করছেন। এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও টেনে এনেছেন প্রীতম।
মাস ঘুরতেই পুরভোট(municipal polls) কলকাতা হওড়ায়। ইতিমধ্যেই দুই জেলাতেই পুরভোটের জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওড়ার(howrah) পাশাপাশি কলকাতার সবুজ হাওয়া ঘোরাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিজেপি(bjp)। অন্যদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও (tmc) এমতাবস্থায় এবার এক বিজেপি নেতার ভাইরাল কল ঘিরে তোলপাড় হয়ে গেল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। ওই ভিডিয়োটি তৃণমূলের টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ওই ভাইরাল ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, জনৈক বিজেপি নেতা প্রীতম সরকার পুরভোটের টিকিট বিক্রি (Municipal poll ticket sales) করছেন। এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (BJP president Sukant Majumder) নামও টেনে এনেছেন প্রীতম। এক একটি সিট ১লক্ষ টাকা করে দাম হেঁকেছেন ওই বিজেপি নেতা। এমনকি শাসক দলের সঙ্গে সেটিং করে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রীতম। আর এখানেই বাড়ছে চাপানউতর। যদিও ‘সেটিং’ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলে, “পুরো ঘটনাটাই ভুয়ো। একটা চক্রান্ত করে তৈরি করা। বিজেপির এতটাও খারাপ দিন আসেনি যে বিজেপিকে ১ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি করতে হবে।
আরও পড়ুন - আলগা হয়েছে করোনার ফাঁস, বুথ পিছু বাড়ছে ভোটার সংখ্যা
এদিকে কল রেকর্ডিংয়ের গোটা ভিডিও টুইট করে তৃণমূলের অফিসিয়াল আইডি থেকে বলা হয়েছে,''প্রার্থী পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অপপ্রচার চালাতে এভাবে টাকা তোলেন সুকান্ত মজুমদার? ভয়ঙ্কর!' অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদারের জ্ঞাতসারেই নাকি এই কথোপকথন হয়েছে। যদিও শুরুতে এই বিষয়ে বিজেপির তরফে বিশেষ কোনও উচ্চবাচ্চ্য করা না হলেও বর্তমানে গোটা ঘটনাই অস্বীকার করছেন সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বই।
আরও পড়ুন - প্রসূনের পথের ‘কাঁটা’ রাজীব, পুরভোটের আগে ‘ঘর ওয়াপসিতেও’ নেই স্বস্তি
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার জেরে জল গড়িয়েছে পুলিশের দরবারেও। এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপটি নিয়ে সরাসরি লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করলেন খোদ দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার। স্নেহাশীস দত্ত নামে বেহালার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত এফআইআর দায়ের করেছেন শঙ্কর। মানহানি ও মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে বেহালার বাসিন্দা স্নেহাশিষ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফাঁস হওয়া অডিয়ো ক্লিপটিকে ‘চক্রান্ত’ বলেই তোপও দেগেছেন তিনি। রবিবার এই ঘটনার কথা প্রথম সামনে এলেও এখনও গোটা বিষয়টি নিয়ে চাপানউতর চলছে দুপক্ষের মধ্যে। এমনকী আসল রহস্য কোথায় লুকিয়ে তা এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশও।