শুভজিৎ পুততুণ্ড, বারাসত-হাতুড়ে ভুল চিকিৎসার জেরে মূমুর্ষু অবস্থা রোগীর। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা শুরু হলে এক হাতুড়ের কাছে চিকিৎসা করান ওই রোগী। তাঁর ডান পায়ে ইঞ্জেকশন দেন ওই হাতুড়ে। তারপর থেকে ওই ডান পা অকোজো হতে থাকে বলে অভিযোগ। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ওই হাতুড়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-নদীতে ভেসে এসেছিল বাংলাদেশি নাগরিকের দেহ, প্রতিবেশীকে দেহ ফেরাল বিএসএফ
বছর তেতাল্লিশের উত্তম দাস নামে ওই রোগী বিধানগর দক্ষিণথানার ছয়লাভী এলাকায়ৃর বাসিন্তা। তিনি জানান, গা-হাত-পায়ে ব্যাথার কারণে ওই হাতুড়ের কাছে গিয়েছিলেন। সেদিন দুহাতে গুটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিল ওই হাতুড়ে। সঙ্গে আরও কয়েকটি ব্যাথার ওষুধ দিয়েছিল। সেই হাতুড়ে প্রেসক্রিপশন চাইলে পরে দেওয়ার কথা বলে। এরপর শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। এই অবস্থায় ওই হাতুড়েকে দিয়ে বাড়িতে ডেকে চিকিৎসা করান উত্তমবাবু। সেদিন তাঁর ডান পায়ে দুটি ইঞ্জেকশন দেয়। তারপরই পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।
আরও পড়ুন-খড়গপুরে রেলইয়ার্ডে দম্পতির দেহ উদ্ধার, আর্থিক অনটনের জেরে আত্মঘাতী বলে অনুমান
অভিযোগ, দিনে দিনে ডান পায়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের দোরগোড়ার ঘুরতে থাকেন তিনি। সব জায়গাতেই তাঁর ওই ডান পা কেটে বাদ পরামর্শ দেওয়া হয় বলে দাবি উত্তম দাসের। এই অবস্থায় ওই হাতুড়ের বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-নাশকতা নয়, প্রাক্তন মাওবাদী তকমা দিয়ে চাকরির দাবিতে সরব জঙ্গলমহল
এই অবস্থায় অন্য এক চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে উত্তম দাসের। আপাতত তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু হাতুড়ে ভুল চিকিৎসার কারনে তাঁর এই অবস্থা বলে বারবার অভিযোগ করছেন উত্তম দাস।