বাংলার সব বিধানসভা কেন্দ্রের পার্থী নিজের হাতে বাছবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপি সামলাতে আগেই পঞ্চপান্ডব পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এবার বাংলার ওই ৫ নেতার রিপোর্টের ভিত্তিতেই পার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন, আজ 'মালদা জেলা' নিয়ে তৃণমূল ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, কতটা প্রভাব ফেলবে 'শুভেন্দু' ইস্যু
পার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন অমিত শাহ
গত লোকসভা নির্বাচনেও একই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। অমিত শাহ নিজেই বাংলার পার্থী বাছাই করেছিলেন। যার জেরে ১৮ আসনে বাজিমাত করেছিল বিজেপি। তাই সেই একই পথেই নীলবাড়ি দখলের লড়াই একই পথে এগোচ্ছেন শাহ। এবং এবার সেই কারণেই রণনীতিতে পঞ্চপান্ডব পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টেই পার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন অমিত শাহ। এদিকে ৮ এবং ৯ ডিসেম্বর রাজ্যে থাকবেন বিজেপি সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা। সেই সময়ই রাজ্য থেকে জেলা স্তরে সম্ভাব্য। সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে চূড়ান্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু কি বিজেপিতে, কী বার্তা দিলেন দিলীপ
দিলীপ-মুকুলের কাজকর্মে বিরক্ত কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব
অপরদিকে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের কাজকর্মে অনেকদিন ধরেই বিরক্ত কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। একাধিকবার দিল্লিতে ডেকে সতর্ক করলেও সমস্যা রয়েই গেছে। এমনই সময় বিধানসভা ভোটের দোরগড়ায়, ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্য বিজেপি সামলাতে আগেই পঞ্চপান্ডব পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই পঞ্চপান্ডব আসলে ভিন রাজ্যের ঐতিহাসিক জয়ে খ্যাত ৫ নেতা। এই ৫ স্তম্ভের মধ্য়ে সুনীল দেওধর এখন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক। দুষ্মন্ত গৌতম ছত্তীসগঢ়ের পর্যবেক্ষক দুষ্মন্ত মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র সাফল্য়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। বিনোদ তাওড়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক। ওদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী এবং বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন হরিশ দ্বিবেদী। এবং পঞ্চম স্তম্ভ বলতে গেলে ২০১৮ ও ১৯ এ পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে তিনিও বিজয়ী। জন্ম থেকে রাজনীতিতে দক্ষ সেই পঞ্চমতম পান্ডবের নাম বিনোদ সোনকর। যিনি সদ্য ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন।