সিবিআই হাজিরায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থাকে, ১৫ দিন সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
সিবিআই হাজিরায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থাকে, ১৫ দিন সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রত ওরফে কেষ্টকে লম্বা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অনুব্রত সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিজিও কমপ্লেক্সে বেলা ১ নাগাদ হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি সিবিআই হাজিরায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে সিবিআই-কে চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
চিঠির পাশাপাশি সিবিআই-কে ইমেল করে গরহাজির অবস্থান স্পষ্ট করবেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ১৫ দিন বিশ্রাম নেবেন তিনি। তাই আইনজীবী মারফৎ এদিনই চিঠি পাঠাচ্ছেন সিবিআইকে কেষ্ট। নিজের অনুপস্থিতির কথা জানিয়েছেন সেখানে। তবে বোলপুরে তদন্তের প্রয়োজনে আশুক সিবিআই, আর তা না হলে সময় দিক সিবিআই। এমনটাই চিঠিতে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, ছয় বারের হাজিরা এড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে সম্প্রতি নিজেই চিঠি দিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তড়িঘড়ি করে জবাব দেয় নিজাম প্যালেসও। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতোই এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হন কেষ্ট। যদিও তাঁকে সিবিআই দফতরে আসার সময় তাঁকে, বুকে হাত দেওয়া এবং কাঁধে ভর দেওয়া অবস্থায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেল আরও সস্তা হল কি কলকাতায় ? দেখুন সারাদেশের জ্বালানীর দর
গরুপাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। তবে এবার শেষঅবধি বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআই-র মুখোমুখি হন। এরপর ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসতেই ফের সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।
আরও পড়ুন, আজও কি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কলকাতা-সহ বঙ্গে ? কী বলছে হাওয়া অফিস
উল্লেখ্য, এর আগে ভোট পরবর্তী মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দুবার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু শারীরিক অসুস্ততার কারণ তিনি যেত পারেননি। এবিষয়ে তৃণমূলের কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন,'এটা আইনি প্রক্রিয়া। এনিয়ে দলের কিছু বলার নেই। তবে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতারা বহু এলাকায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। কোনও কোনও জায়গায় আদি ও নব্য বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও মারামারি হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে রাগ মেটানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।'