Dilip Ghosh:'গোয়ায় এখন বহু লোক বেড়াতে যান', দিল্লি পাড়ি দেবার আগে অভিষেককে খোঁচা দিলীপের

'গোয়ায় এখন বহু লোক বেড়াতে যান, দর্শক মাত্র ওনারা ওখানে', সকালের বিমানে দিল্লি পাড়ি দেওয়ায় আগে অভিষেককে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 21, 2022 7:10 AM IST / Updated: Jan 21 2022, 03:52 PM IST

'গোয়ায় (Goa) এখন বহু লোক বেড়াতে যান, দর্শক মাত্র ওনারা ওখানে', সকালের বিমানে দিল্লি পাড়ি দেওয়ায় আগে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 'দিল্লিতে পিভিলেজ কমিটির মিটিং আছে যেজন্য যেতে হচ্ছে', যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বলেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।

দোরগড়ায় গোয়া বিধানসভা ভোট। তাই নামের তালিকা ঠিক -সহ একাধিক কর্মসূচিতে গোয়া গিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। মূলত গোয়ায় আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে এই নিয়ে অনেকবারই গোয়া গেলেন অভিষেক। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার গোয়া যাবেন প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'গোয়ার এখন ঘুরতে যাওয়ার সিজন ,বহু লোক বেড়াতে যান। গিয়ে এলেন তাতে কি হল, আমরা তো কিছু বুঝতে পারলাম না। ত্রিপুরাতে কোনও আশা নেই। যদি গোয়া দিয়ে কিছু হয়। গোয়াতে আঁতাত হচ্ছে না কি হচ্ছে, তৃণমূলের কী যায় আসে। দর্শক মাত্র ওনারা ওখানে।' প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সারা দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গোয়া । যেখানে দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলবার চেষ্টায় মরিয়া তৃণমূল। তবে গোয়ায় ইতিমধ্যেই সদ্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তকমা লাগিয়ে মমতাকে চিঠি দিয়ে গোয়া ছেড়েছেন ৫ নেতা।  সম্প্রতি গোয়ায় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি)-র হাত ধরেছে তৃণমূল। আর এই পদক্ষেপকেই সাম্প্রদায়িক বলে অভিযোগ তুলেছেন লাবু মামলেদার। এদিকে আসন্ন ভোটের আগে এমনই জটিল পরিস্থিতিতে ফের অভিষেককে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় রক্ষী প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি ২ BJP বিধায়কের, ফের দল বদলের ইঙ্গিতে জল্পনা তুঙ্গে

অপরদিকে,কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এসব নিয়ে বলার কিছু নেই। কে নেত্রী, কে নেতা। কার নেতা কে। এব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। ড্যামেজ কি আর কন্ট্রোল হয়। মাথায় একদম ঘা হয়ে গিয়েছে। এধরনের সর্বোচ্চ স্তরের নেতারা নিজেদের মধ্যে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়। কোন ডিসিপ্লিন হয় না, এটা বোঝা যায়।' উল্লেখ্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ডায়মন্ড হারবার মডেলের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক পুরভোটের আগে কোভিড আধিক্যের জেরে একটি ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছিলেন। অভিষেক বলেছিলেন, কোভিডের এই পরিস্থিতিতে আগামী ২ মাসের জন্য সকল কর্মসূচি বন্ধ রাখা হোক। স্বাভাবিকভাবেই তিনি পুরভোট পিছিয়ে দেবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তার ওই ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে।  এরপরেই অভিষেককে তোপ দাগেন কল্যাণ। তিনি বলেন, অভিষেকের ব্যক্তিগত মত বলে কিছু থাকতে পারেনা। তার মত অর্থাৎ দলের বার্তাই বোঝায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাগুলির পর দলের অন্দরে কল্যাণকে নিয়ে চাপ বাড়তে থাকে। যার জেরে প্রকাশ্য মুখ বন্ধ রাখতে বলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে কড়া বার্তা দেওয়ার পর এই কল্যাণ বনাম কুণালের বাকুযুদ্ধের যবনিকা পড়ে। সেই বিতর্কের পরেই এবার দিল্লি যাবার আগে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।

ট্যাবলো বিতর্ক নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দুজন সিনিয়র মন্ত্রী এভাবে পরিস্কার করে দিয়েছেন। আমরা জানি যে ট্যাবলো হয় সেখানে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে ৬০-৭০ টি ট্যাবল গিয়েছে সেখানে ২৩ টি সিলেক্ট হয়েছে। ২৯টি রাজ্য পাঠিয়েছিল সেখানে ১২ টি সিলেক্ট হয়েছে। সেজন্য কোনও বিশেষ রাজ্য বা বিরোধী বলে আলাদা করা হয়েছে এমন নয়। তার নির্দিষ্ট নীতি পদ্ধতি আছে সেভাবেই হয়। প্রত্যেক বছরই হয় টিএমসির ট্যাবলোর চাইতে আগ্রহ রাজনীতিতে তাই তারা জলঘোলা করছেন। পিআইএল করার একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়ে আজকাল যে কোনও বিষয়ে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নেই পশ্চিমবাংলায় তাই পিআইএল হয়। কেন্দ্রে এব্যাপারে স্পষ্ট নীতি তাই ওখানে জটিলতা নেই।'

Read more Articles on
Share this article
click me!