'পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে', বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মমতার নের্তৃত্বের প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বুধবার ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার ভাষণে বাংলার সংষ্কৃতি, নের্তৃত্বের কথা উঠে এসেছে। এছাড়াও রাজ্যের বিনিয়গের অনুকূল পরিবেশের কথা উঠে এসেছে রাজ্যপালের বক্তব্যে। ষষ্ঠ বাণিঝ্য সম্মেলনে সবাইকে স্বাগত জানান এদিন রাজ্যপাল। 'রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করেন' তকমা পেলেও , তবে এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে মমতার সরকারের প্রশংসা লক্ষ করা গিয়েছে।
এদিন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, 'কলকাতার পুজো ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এটা খুব গর্বের। রাজ্যের অতীত গৌরবজ্জ্বল অধ্যায় ফিরে আসুক বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে কালকে। এই ধারণা আবার ফিরে আসুক। প্রধানমন্ত্রীও তেমনই চান' বলেই জানিয়েছেন এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন, রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় এলাকার খোদ তৃণমূল নেতা, উত্তেজনা খড়দহে
তিনি আরও বলেন, এই ষষ্ঠ দফার বাণিজ্য সম্মেলন সর্বোতভাবে সফল হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সালে যে লুক ইস্ট পলিসি নিয়েছিলেন তাতে পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের কথাই ভেবেছিলেন। এরপর রাজ্যপালের বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ম্যাচিওর্ড নের্তৃত্ব সেই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি আশা করবেন যাতে উন্নয়নের কাজে যাতে রাজনীতি দূরে থাকে। কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বমূলক অবস্থান এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। বরং কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমণ্বয়মূলক কাজই ফলপ্রসু হতে পারে। তবে তিনি ঘুরপথে এও বলেছেন, আমি নিশ্চিত বিনিয়োগকারীরা সবসময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক স্থিতি শীলতা, পদ্ধতিগত কাজ, শান্তিপূর্ণকাজ এবং আইন শাসনের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করে। মূলত এযাবৎকালের বলে আসা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা কিছু নেই, সেই কথার ঝাঁঝ রেখে রাজ্যের প্রশংসায় উলটে সরকারের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল, বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নৈশভোজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে শিল্প সম্মেলনের আসর এবারের সম্মলনে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসতে পারে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে। সূত্রের খবর এখানে বিনিয়োগ করতে পারে আদানি গোষ্ঠী। বিড়লা গোষ্ঠীর সিমেন্ট ও বস্ত্র কারখানা আছে। এবার গড়ে উঠতে পারে রঙের কারখানা। এছাড়া আজকের শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আরও কিছু ঘোষণা করতে পারে কুমারমঙ্গলম বিড়লা। এমনটাই আশা করছে শিল্প মহল। গাড়ি বা গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরিতেও বড় বিনিয়োগ আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার
অপরদিকে, যদিও এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের ইস্যুতে বরাবরের মতোই রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিনে মমতার সরকালকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আজ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আমার মনে হয় সিলিকন ভ্যালি একবার ঘুরে দেখা উচিত। দুই তিন বছর আগে হোর্ডিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। এখন দুই একটি মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিং রয়েছে। বছরের পর বছর বেঙ্গল সামিট হয়েছে, টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের ট্যাক্সের টাকা খরচ হয়েছে।