মমতার কথায় ৮৩, কেন্দ্র বলছে রাজ্য়ে আক্রান্ত ১০৩

  • রাজ্য়ে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ল ১২
  • সব মিলিয়ে রাজ্য়ে কোভিড১৯-এ সংক্রমণের সংখ্য়া ৮৩
  •  এদের মধ্য়ে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা চলছে ৮০ জনের 
  • এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন ৫ জন

Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2020 12:03 PM IST / Updated: Apr 09 2020, 06:08 PM IST

রাজ্য়ে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ল ১২। সব মিলিয়ে রাজ্য়ে কোভিড১৯-এ সংক্রমণের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়ালো ৮৩।  এদের মধ্য়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা চলছে ৮০ জনের। এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৫ জন। তবে করোনা মুক্তি ঘটেছে তিনজনের। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোন ওষুধে কুপোকাত করোনা, কত ডোজ দিচ্ছেন রাজ্য়ের ডাক্তাররা

মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য়ে এখন মোট ৬১টি করোনা হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। কোয়ারান্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে ৫৬২টি। রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় আরও ১১ লক্ষ পিপিই-এর বরাত দিয়েছে। এরই পাশাপাশি ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৯৫টি মাস্কেরও বরাত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ৫১১৮ জন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বেরিয়েছেন। 

৫০০ টাকা করে ঢুকছে অ্যাকাউন্টে, মোদীকে নমস্তে জানালো কলকাতা..

এদিকে রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে সাইটে তুলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক।  রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ১০৩ ছুঁয়েছে। মৃতের সংখ্য়া ৫থাকলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ জন। যা করোনা আতঙ্কের মধ্য়েও ইতিবাচক দিক। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন করে রাজ্য়ে দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭১। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আরও ২ করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই  আক্রান্তদের একাধিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বাকি আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্য়ক্তিদেরও কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ জনই ১১টি পরিবারের সদস্য। 

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে এখনই স্কুল খোলার সম্ভাবনা নেই, বৃহস্পতিবার নবান্নে জানালেন মমতা.

মঙ্গলবারই এনআরএস হাসপাতালের মোট ৭৯ চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে মোট ৩০ জন চিকিৎসক ছাড়াও ৫ জন নার্স সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এখনও ১৬ জন ভর্তি রয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আইডি হাসপাতাল থেকে বুধবারই ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। 

পরিসংখ্য়ান বলছে, দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।  একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়াল ৫৭৩৪। যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। মোট আক্রান্ত ৫৭৩৪ জনের মধ্যে বর্তমানে ৪৭৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। এই সংখ্য়া সামনে আসার পরই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে স্টেজ থ্রি-তে প্রবেশ করল ভারত।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রধান আধিকারিক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং জানিয়েছেন, যখন সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন সেই দেশে সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে ধরা হয়। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তাই দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে এখনই এরকম বলা যাবে  না।  

Share this article
click me!