পরাণমুখ সবুজ-নালি ঘাসে ঢাকা পড়েনি মানবিকতা, লকডাউনে এক অন্য কাহিনি লিখছে গলফগ্রিন

  • যারা বলেন যে শহুরে মানেই ওই আত্মকেন্দ্রিক
  • এহেন মানুষদের মুখের উপর সপাটে জবাব হতে পারে গলফ গ্রিন
  • এই এলাকায় রয়েছে অন্তত ১২০০ পরিবারের বাস 
  • লকডাউনে আজ তারা একে অপরকে যেন আরও বেশি করে জাপটে নিয়েেছেন 

Ritam Talukder | Published : Apr 9, 2020 11:12 AM IST / Updated: Apr 09 2020, 09:36 PM IST

প্রতিবছর দুর্গা পুজোর সেরা পুরষ্কারের সম্মানিত হয় ' গলফগ্রিন শারদোৎসব কমিটি'। তবে এবার তাদের সেরা পুরষ্কার বোধয় এলাকাবাসীর শুভকামনা। কারণ করোনা যুদ্ধে সামিল হয়ে লকডাউনে তাঁরা মানুষের আজ অনেক কাছাকাছি। এলাকার আবাসিকদের হাতে তারা পৌঁছে দিচ্ছেন বাজার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, রান্না করা খাবার। এমনকী বয়ষ্কদের নিজস্ব গাড়ি করে পৌছে দিচ্ছেন আত্মীয়ের বাড়িতে।

 

 

আরও পড়ুন, কোন ওষুধে কুপোকাত করোনা, কত ডোজ দিচ্ছেন রাজ্য়ের ডাক্তাররা


এটি কলকাতার ৩৮ বছরের পুরোনো আবাসিক। এখানে প্রায় ১৪০০ পরিবার বসবাস করেন। যাদের বেশীরভাগ পরিবারেরই ছেলে-মেয়ে বিদেশে থাকেন। আবাসিকের বয়ষ্করা সাধারনত বাজারঘাট-প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য়ে বাড়ির পরিচারিকার উপরেই নির্ভর করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে পরিচারিকারাও কার্যত আসতে পারছেন না। এদিকে শহরের বেশীরভাগ ওষুধের দোকানও বন্ধ, কারণ জোগান নেই। যাও বা দু-একটা খোলা সেগুলিতে খরিদ্দারের লম্বা লাইন। এদিকে এপ্রিলেই ৩৮ ছুঁইছুঁই করছে কলকাতার পারদ। সবমিলিয়ে অসহায় শহরের এই আবাসিকের প্রবীণ নাগরিকেরা। আর এবার তাঁদের দিকে সাহায্য়ের হাত এগিয়ে দিল 'গলফগ্রিন শারদোৎসব কমিটি'। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫টি পরিবারকে প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে তাঁরা সাহায্য় করতে পেরেছেন। আর এই বিশাল বড় কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন 'গলফগ্রিন  শারদোৎসব কমিটি'-এর প্রেসিডেন্ট তথা কলকাতার ১০ নং ব্য়ুরোর চেয়ারম্য়ান তপন দাশগুপ্ত।

 

 

 আরও পড়ুন, লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের তিনি প্রাণের মানুষ, দুবেলা পেট ভরে তাঁদেরকে খাওয়াচ্ছেন পাটুলির দাশু সাহা


তবে এখানেই শেষ নয়, আছে আরও হৃদয় ছোঁওয়া কর্মকাণ্ড। 'গলফগ্রিন  শারদোৎসব কমিটি'-র জয়েন্ট সেক্রেটারি সুদীপ ঘোষ জানিয়েছেন,  তাঁরা এলাকার আবাসিকের পাম্প ম্য়ান এবং জমাদারদের চলতি মাসের মাইনে তাঁদের নিজেদের পকেট থেকে সংগ্রহ করে একসঙ্গে পৌঁছে দিয়েছেন। এলাকার পার্ককে জীবাণুমুক্ত করতে কলকাতা পৌরসভাকেও সাহায্য় করেছেন। পাশাপাশি নিকটবর্তী কলোনী এলাকার দুঃস্থ মানুষদের ইতিমধ্য়েই প্রায় ২৫০ টি খাদ্য় সামগ্রীর প্য়াকেট পৌছে দিয়েছেন। যার মধ্য়ে আছে চাল-ডাল-আলু-ডিম। এর পরেও আছে কমিটির পরিকল্পনা। তাঁরা তাদের আবাসিকদেরর যত্নে রাখতে কমিউনিটি হলে আরও অনেকটা পরিমানে খাদ্য় সামগ্রী মজুত রাখতে উদ্য়োগী হয়েছে।

 

এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা

Share this article
click me!