একের পর এক দুঃসংবাদ যেন পিছু ছাড়ছে না। ভাল নেই কালবেলা-র শ্রষ্টা। গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। প্রবল শ্বাসকষ্টে নিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বর্ষীয়ান সাহিত্যিককে। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-ঢিলেঢালা পোশাক, স্পষ্ট ফুটে উঠেছে 'Baby Bump', কতটা সুন্দরী হলেন অন্তঃসত্ত্বা নুসরত...
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণ রয়েছে সমরেশ মজুমদারের। তার জন্যই শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যা। ইতিমধ্যেই চেস্ট এক্স রে, সিটি স্ক্যান সহ একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ওনার। তার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে বর্ষীয়ান সাহিত্যিককে।গত ১০-১২ বছর ধরে সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছিলেন সমরেশ মজুমদার। এর আগেও ২০১২ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউ-তে সমস্ত রকমের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ বাড়ছে পাঠকদের।
একাধিক অসাধারণ লেখনীর মধ্য দিয়েই দুই বাংলার পাঠককে দশকের পর দশক করে বিমুগ্ধ করে রেখেছেন ৭৯ বছর বয়সী সমরেশ মজুমদার । তাঁর লেখনির গণ্ডি গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ভ্রমণকাহিনি থেকে গোয়েন্দাকাহিনি, ছোটগল্প থেকে কিশোর উপন্যাস রচনায় সবেতেই তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস দৌড় ১৯৭৬ সালে ছাপা হয়েছিল দেশ পত্রিকায়। সেখান থেকে যাত্রা শুরু। তারপর থেকেই তার কলম চলতে থাকে। একের পর এক উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ,তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, সাতকাহন, উজান গঙ্গা, যা বাঙালির উপহারের চেয়ে কম কিছু নয়। তবে তাঁর সেরা সৃষ্টি ‘উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ’ ট্রিলজি যা তাকে বিশেষ খ্যাতি দিয়েছে। সাহিত্যিকের ঝুলিতে পুরস্কারের সংখ্যাও অনেক। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সাহিত্য আকাদেমী পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইয়াইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।