সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, রাজস্থান থেকে বিধাননগর পুলিশের জালে ১

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসবাব কেনার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা। রাজস্থান থেকে অভিযুক্ত নিতিন রাজকুমারকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।  

Web Desk - ANB | Published : Dec 18, 2021 9:37 AM IST / Updated: Dec 18 2021, 03:28 PM IST

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসবাব কেনার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা (Fraud Case)। রাজস্থান থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। অভিযুক্ত নিতিন রাজকুমারকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শনিবারই অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে (Court)।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসে রাজু শাহ নামের এক ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসিত বিশ্বাস নামের একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। সেই অসিত বিশ্বাসের প্রোফাইল থেকে তাকে ফোন নম্বর প্রোভাইড করা হয়। এরপরই ওই একাউন্ট থেকে তাকে বেশকিছু আসবাবপত্রের ছবি দেখিয়ে বিক্রির কথা জানানো হয়। অভিযোগকারী রাজু শাহ আসবাব কিনতে রাজি হলে তাকে আসবাব বাবদ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা চায় অভিযুক্ত। সেই মোতাবেক তিন বারে সেই টাকা অনলাইন ট্রান্সফার করে দেয় অভিযোগকারী ব্যক্তি। এরপরই আরও টাকা চাইতেই প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন তিনি।

আরও পড়ুন, Oil Price Today: আজ জ্বালানীর কি দাম কলকাতায়, জানুন দিল্লি সহ দেশের ৪ শহরের পেট্রোল-ডিজেলের দর

ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস থেকে জানতে পারে রাজস্থানের আলওয়ার থেকে এই অপরাধ সংঘটিত করা হচ্ছে। অবশেষে রাজস্থানে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের একটি দল। সেখান থেকেই অভিযুক্ত নিতিন রাজকুমারকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে ৪টি সিম কার্ড সহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজস্থান আদালত থেকে ৭দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। শনিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, নভেম্বরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রতারাণার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন (Advertisement) দেখে ওষুধ কোম্পানির   ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আবেদন করেন লেকটাউনের  বাসিন্দা রাহুল ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। তার জেরেই লক্ষাধিক টাকা খোয়াতে হল তাঁকে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। তারপরই তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার  করে লেকটাউন থানার পুলিশ। তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায়  নামি কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি যোগাযোগ করেন। তার পরই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়।একে একে অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে ওই সব টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন তিনি। বলা হয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়ে যাবেন। কিন্তু, তারপরও অভিযুক্তরা তাঁর থেকে জিএসটির জন্য আরও কিছু টাকা দাবি করেছিল। আর এভাবেই রাহুল ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও বেশ কিছু টাকা উধাও হয়ে যায়। কিন্তু, ফ্র্যাঞ্চাইজি কোনওভাবেই তিনি পাচ্ছিলেন না। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন,এরপরেই বুঝত পারেন।

Share this article
click me!