বৈশাখী আমন্ত্রিত না থাকায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না শোভন। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে শনিবার সকালে শোভনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু, সেখানে বৈশাখীকে আমন্ত্রণ না করায় সেই অনুষ্ঠানে হাজির হলেন না শোভন।
আরও পড়ুন-'মুকুলকে রেখে সারদা নিয়ে জ্ঞান দেবেন না', কৈলাসকে তীব্র হুঁশিয়ারি কুণাল ঘোষের
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে দলের কাজে ব্যবহার করতে চাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেজন্য শুক্রবার রাতভর শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ভূমিকা কী হবে। তা নিয়ে বৈঠ করেছিলেন বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা অরবিন্দ মেনন ও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অরবিন্দ মেনন তাঁদের বাড়িতে বৈঠক করেন। ভোর পাঁচটৈ অবদি টলা বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছিল। কিন্তু, শনিবার সকালে একটি ফোনেই সব জল্পনাই ডল ঢেলে দেয়।
আরও পড়ুন-২৬ নভেম্বর বামেদের ধর্মঘট, সমর্থনে হাওড়ায় মিছিল করল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন
রবিবারের রাজ্য বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য শোভনকে আমন্ত্রণ করেছিল রাজ্য বিজেপির সংস্কৃতি সেল। সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শুধু মাত্র শোভনকে। বৈশাখকীকে নয়। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী দুজনেই। তাঁদের মধ্যে রাজ্য বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই, রবিবার সকালে শোভন বলেন, 'আমি ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না, আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে লাভ নেই'।