সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন জগন্নাথ সরকার। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি পদ থেকে সরানো হল জয়প্রকাশ মজুমদার এবং সুভাষ সরকারকে। তবে শুধু সায়ন্তন নয়, বুধবার ঘোষিত নয়া কমিটি নিয়ে আরও অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে খবর।
পুরভোটে(KMC Election) ভরাডুবি! আর ঠিক তারপরেই বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে(State Committee of the BJP) দেখা গেল বড়সড় রদবদল। গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ পড়লেন একাধিক তাবড় তাবড় পদ্ম নেতারা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তবে বর্তমানে চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু(BJP leader Sayantan Basu)। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক(General Secretary of State) ছিলেন সায়ন্তন। কিন্তু বুধবার যে নতুন কমিটি ঘোষিত হয়েছে তাতে ওই পদ থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এমনকী ঠাঁই পাননি কোর কমিটিতেও। এই ঘটনায় বর্তমানে নয়া হিন্দোল তুলছে বিজেপি শিবিরের অন্দরে।
এদিকে সায়ন্তন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার খানিক পরেই বুধবার রাতেই বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা। তার মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক(current Trinamool MLA) এবং এক জন প্রাক্তন বিধায়কও। তাদের এই বৈঠক নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়ার খবর শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সায়ন্তন। বেরিয়ে যান সমস্ত বিজেপি গ্রুপ থেকে। এমনকী নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে রাখঢাক না রেখেই নিজের ক্ষোভের কথাও জানান। আর তারপরেই সায়ন্তনের দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। তবে এই বিষয়ে সায়ন্তন বসুর তরফে অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কৌশল নেই বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়ম অনুযায়ী, নবনিযুক্ত সভাপতি রাজ্য কমিটিতে রদবদল ঘটিয়েই থাকেন। যদিও বিষয়টা এতটাও মসৃন প্রক্রিয়ায় হয়নি বলেই অনেকের দাবি।
আরো পড়ুন-পুরভোটে প্রার্থী খুঁজতে ড্রপ বক্স, বিজেপির কাণ্ডকারখানায় ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে
এদিকে বিধানসভা ভোটের পর পুরভোটে বিজেপি-র ভরাডুবির পর স্বভাবতই চাপ বাড়ে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। আর তখনই সায়ন্তন সম্ভবত বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজ্য নেতার চক্ষুশূল হন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত। বুধবার যে বড় রদবদল হল বিজেপি-তে, তাতে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পালকে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ও (Locket Chatterjee) সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন জগন্নাথ সরকার। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি পদ থেকে সরানো হল জয়প্রকাশ মজুমদার এবং সুভাষ সরকারকে। তবে শুধু সায়ন্তন নয়, বুধবার ঘোষিত কমিটি নিয়ে আরও অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে খবর।