পুরভোট নিয়ে মঙ্গলবারই খড়্গপুর শহরে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপরেই প্রাক্তন বিধায়ককে বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে আসেন দিলীপ। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
কলকাতার পুরভোট(Kolkata Municipal election) পর্ব মিটতে না মিটতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগমের ভোট পর্ব নিয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনে প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী সব পক্ষই। তৃণমূল-বিজেপি(Trinamool-BJP) টক্কর চলছে সমানে সমানে। এদিকে তারই মাঝে এক বিরল সৌজন্য সাক্ষাৎের সাক্ষী থাকল বঙ্গবাসী। আর তাই করে দেখালেন বিজেপি-র জাতীয় সহ সভাপতি(BJP's national co-president) তথা বঙ্গ রাজনীতির পরিচিত মুখ দিলীপ ঘোষ(BJP Leader Dilip Ghosh)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই বার্ধক্যজনিত কারণে প্রয়াত হয়েছেন খড়গপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক(Former Trinamool MLA and Municipal Administrator) প্রদীপ সরকারের মা গীতারানি সরকার। এবার তারই পারলৌকিক অনুষ্ঠানের নিয়মভঙ্গের দিন সটান প্রদীপ সরকারের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন দিলীপ। যা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এই প্রসঙ্গে পদ্ম নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের দাবি, “ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। তবে আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি, তাই সৌজন্যটাই আসল। প্রদীপদা আমাদের এখানকার চেয়ারম্যান ছিলেন। এখানকার বিধায়ক ছিলেন। একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। মাতৃ বিয়োগ হয়েছে। দুঃখের দিনে, সবচেয়ে কঠিন সময় এটা। আমি খড়গপুরে ছিলাম। শ্রাদ্ধ-শান্তি ছিল, দেখা করতে এসেছিলাম। শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে গেলাম মাকে। পরিবারের সঙ্গে দেখা হলো।” অন্যদিকে খড়গপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক তথা খড়গপুর পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, “খড়গপুর সবসময়ই সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়েছে। যখন জ্ঞান সিং সোহান পাল মারা যায় তখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ওনার জন্য কলকাতা থেকে গ্যান স্যালুটের ব্যবস্থা করেছিলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। ওনার নামে আজ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ করা আছে। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতে পারে, বিরোধ থাকতে পারে। সৌজন্যের রাজনীতি যাতে বহাল থাকে তা চেষ্টা করেছি। মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আজ উনি আমার বাড়িতে এসেছেন। এই সৌজন্যের রাজনীতি যাতে সব সময় বহাল থাকে। সেটা আমরা খড়গপুরে চেষ্টা করব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরভোট নিয়ে মঙ্গলবারই খড়্গপুর শহরে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠক থেকে দলীয় কর্মীদের কোমর বেঁধে মাঠে নামার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তারপরেই প্রাক্তন বিধায়ককে বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে আসেন দিলীপ। একে অপরকে আলিঙ্গন করেন ও অনুষ্ঠানে গিয়ে মিষ্টিমুখও করে আসেন দিলীপ ঘোষ। তা নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।