বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে পদ্ম নেতাদের গোপন বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে হইহই। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা যায় দলীয় নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সেখানে কথা হয় তাদের।
কলকাতা পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগমগুলিতেও বেজে উঠেছে পুরভোটের দামামা। এদিকে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির পর থেকেই চাপে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি(BJP)। রদবদল নিয়ে বারেবারেই বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন একের পর এক পদ্ম নেতা। আর তাতেই নবতম সংযোজন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর(Union Minister of State Shantanu Thakur)। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এরইমধ্যে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের(BJP leader Joy Prakash Majumder) বাড়িতে পদ্ম নেতাদের গোপন বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে হইহই। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা যায় দলীয় নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Pratap Banerjee)। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সেখানে কথা হয় তাদের। যদিও বেরোনোর সময় প্রতাপের দাবি ছিল “চা খেতে এসেছিলাম”। যদিও চায়ে পে চর্চার মূল বিষয় কী ছিল তাই এখন মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রায় ঘন্টা দুয়েক জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা হয় প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়ের। বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রতাপ বাবু বলেন, “মিটিং কিছু নেই,কারো বাড়ি কেউ যাবে না। কোনও বিষয় নিয়ে কথা নেই। সন্দেহের কিছু নেই, চা খেতে এসেছিলাম।” অন্যদিকে এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “প্রতাপ ব্যানার্জি ও সমীরণ সাহা দুজনেই বিজেপি কর্মী। গত ৩০-৩৫ বছর ধরে। বর্তমানে বিজেপিতে রাজ্য বিজেপিতে সব থেকে পুরোনো কার্যকর্তা বলতে বোধ হয় প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।তার পরপরেই রয়েছেন সমীরণ সাহা। এই যে এরা এখনকার কমিটিতে ব্রাত্য সেটা খুবই গণ্য ব্যাপার। আজকে যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল এই জায়গায় উঠে এসেছে সেই জায়গায় আনার পিছনে যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যাদের আত্মত্যাগ আছে, লড়াই আছে এই দুজন তাদের মধ্যে অন্যতম।”
আরও পড়ুন- BJP ত্যাগ নিয়ে কোন রাস্তায় শান্তনু ব্রিগেড, জরুরি বৈঠক শেষে কী বলছেন বিক্ষুব্ধ অসীম
এখানেই না থেমে জয়প্রকাশ আরও বলেন, “তারা এসেছে আমার সাথে কথা বলতে। চা খেতে খেতে কথা বলতে রাজ্য-রাজনীতি কিরকম দিকে যাচ্ছে, সামনে সল্টলেকের নির্বাচন আছে সেই সব নানা বিষয়ে কথাবার্তা হয়। একটা কথা আছে না ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে, আমরা হচ্ছি রাজনীতিবিদ। রাজনীতিবিদরা এক জায়গায় হলে চা খেলে তখন তো ওয়েদার নিয়ে আলোচনা করে না, তাই রাজনীতি নিয়েই আলোচনা করে। যে কোনও নতুন সভাপতি আসলে তার নতুন টিম তৈরি হয়। রাজ্য কমিটি তৈরি হয়। সব সময় পুরোনো থাকবে নতুন আসবে না তা নয়।”