শিয়রে বিধানসভা, ভাঙন কিন্তু ক্রমশই চাওড়া হচ্ছে গেরুয়াশিবিরে। স্বাধীনতা দিবসের পর থেকে একাধিক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বাদ গেলেন না কৃশানু মিত্রও। একসময়ে বিজেপির মুখপাত্র, এমনকী মিডিয়ার সেলেরও প্রধান ছিলেন তিনি। সোমবার তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। দল ছাড়লেন বিজেপি আরও বেশ কয়েক জন নেতা ও কর্মীও।
আরও পড়ুন: দ্বন্দ্ব নেই দলে, জল্পনা ওড়ালেন মুকুল
বঙ্গ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাই শুধু নন, আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল কৃশানু মিত্রের। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু ঘটনা হল, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেক গেরুয়াশিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে এবং শেষপর্যন্ত ২০১৭ সালে দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। কেন? গত বিধানসভা ভোটে কামারহাটি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন কৃশানু। কিন্তু জিততে পারেননি। অভিযোগ করেছিলেন, দলের একটি গোষ্ঠীই তাঁকে ইচ্ছা করে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে। গেরুয়াশিবিরের অন্দরের খবর, বরাবর রাহুল সিনহার গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কৃশানুর। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সংঘাত নিয়ে কম আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: অবশেষে রিপোর্ট নেগেটিভ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মহম্মদ সেলিম
জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার গত বেশ কয়েক দিন ধরে মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন কৃশানু মিত্র। শেষপর্যন্ত সোমবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। এর আগে ২১ জুলাই-এর ভার্চুয়াল জনসভায় তৃণমূলনেত্রীর স্পষ্ট বার্তা ছিল, যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তাঁদের স্বাগত। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় ভিত্তিতে অন্য দলের কর্মীদের দলে টানতে উদ্যোগ নেন তৃণমূল নেতারা। তারই কি সুফল মিলছে? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।