ফের প্রকাশ্য় সভা থেকে পুলিশকে হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। চুচূড়ার বিজেপির অভিনন্দন কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে কামান দাগেন তিনি। যা নিয়ে ফের বিতর্কে গেরুয়া ব্রিগেডের এই দাপুটে নেতা।
বিশ্বভারতীতে এবিভিপি-র হামলা, 'কিছুই জানেন না' রাজ্য়পাল
এদিন বিকেলে সভা থেকে সায়ন্তনবাবু বলেন, 'আপনারা অভিনন্দন যাত্রার পারমিশন দেননি । আমি কুচবিহারের মাথাভাঙ্গা যেতে গেছি, আমায় আটকেছেন। বালুরঘাট গেছি আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। মেদিনীপুরে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে, কতদিন আটকাবেন ? পুলিশবন্ধুরা জেনে রাখুন, দিন কিন্তু আমাদেরও আসবে। যেদিন আসবে, সেদিন সকালে চুচূড়া, বিকেলে দমদম আর রাতে বারুইপুর দেখিয়ে ছাড়ব । জীবনটা ট্রেনে আর বাসেই কেটে যাবে ।'
শীত বিদায়ের প্রস্তুতি শুরু, কলকাতায় দিনে ফিরছে গরম
প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন যাত্রাকে মাথায় রেখে আজ এক জনসভার আয়োজন করে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি । ছিলেন স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এদিন বলেন, সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব আইনটা বোঝানোর জন্যই এই সভা । আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি বোঝানোর কাজ । কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন , প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি যাবেন , বিশদে বোঝাবেন কেন মোদীজি সিএএ চালু করতে চলেছেন এবং লিফলেট বিলি করবেন ।
ফের বিজেপির সভাপতি পদে দিলীপ,উত্তর দিলেন নিন্দুকদের
রাজ্য়ে কদিন আগেই ঘুরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কলকাতা সফর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তিনি যে নাগরিকত্ব আইনের পথ থেকে সরছেন না তা ভালোভাবেই রাজ্য় বিজেপির নেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী প্রয়োজনে সিএএ নিয়ে কলকাতায় ব্রিগেডেও অংশ নিতে তাঁর আপত্তি নেই। রাজ্য় নেতারা ডাকলে তিনি যে শহরে আসতে পিছপা হবেন না, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী।
সিএএ নিয়ে অসমের পাশাাপাশি অগ্নিগর্ভ হয়েছে রাজ্য়। নিজেই সিএএ হতে দেবেন না বলে পথে নেমেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। নিজেই জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে সিএএ নিয়ে রোল ব্যাক করতে বলেছেন তিনি। যদিও রাজ্য়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সায়ন্তনদের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।