কলকাতার রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। অথচ রাজ্য়ের সরকারের এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। এদিন এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মসম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার ইস্যুতেও মুখ খুললেন সুকান্ত।
কলকাতার রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। অথচ রাজ্য়ের সরকারের এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। এদিন এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মসম্মান (Padma Awardas 2022) ফিরিয়ে দেওয়ার ইস্যুতেও মুখ খুললেন সুকান্ত।
' পদ্মসম্মান প্রত্যাখ্যান তারাই করছেন, যারা এর মধ্যে রাজনীতি করছেন'
উল্লেখ্য, ভারতরত্ন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্য়োতি বসু। আর এবার সেই পথেই এগিয়ে পদ্মসম্মান (Padma Awardas 2022) ফিরিয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপরেই এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Leader Sukanta Majumder)।তিনি এদিন বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সামাজিক ও প্রশাসনিক অবদানকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করেছে পদ্মসম্মান দেওয়া উচিত। তাই দিয়েছে৷ প্রত্যাখ্যান তারাই করছেন, যারা এর মধ্যে রাজনীতি করছেন । এটা অনভিপ্রেত। কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লাইন থেকে না সরায় প্রত্যাখ্যানের ইস্যুতে তিনি বলেন, এতক্ষণ আমরা রাজনীতি করিনি। কিন্তু আমরাও বলতে পারি, পাকিস্তান আগে ভাগ হবে, তারপর দেশ স্বাধীন বলেছিলেন কমিউনিস্টরা। তাঁদের দেশ বিরোধী নানা মন্তব্য আছে। আমরা ওটা এখানে আনতে চাইছি না। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য দেশের গুণীদের স্বীকৃতি দেওয়া। 'বুদ্ধদেবের বিতর্কিত কাজকে সমর্থন করে বিজেপি', এরপরেই অবধারিতভাবে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। সুকান্ত বলেছেন, প্রশাসনিক ও সামাজিক কাজের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ছাঁদ দিয়ে জল পড়ার খোঁজ নেন, সেটাও কী সমর্থন। এটা সৌজন্য। সংবিধান মেনে বুদ্ধবাবু, সুজনবাবু তাঁদের মতাদর্শে কাজ করছেন। আমরা আমাদের মতাদর্শে করছি। এর উর্ধ্যে সরকার ও সৌজন্য।'
আরও পড়ুন, Republic Day 2022: 'সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই', প্রজাতন্ত্র দিবসে টুইট মমতার
'প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্য়ের সরকারি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি'
অপরদিকে, বিক্ষুব্ধদের জেলা কমিটিতে কী বার্তা, এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, জেলা কমিটির ডেটলাইন নেই। কিন্তু আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, আমি করোনা ওমিক্রনে ১০ দিন পিছিয়ে গেছি। আমাদের একে একে হচ্ছে। এর মধ্যে কাউকে কোনও বার্তা নেই। যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অনুগামী বলে কিছু হয় না। দিলীপ ঘোষ সভাপতি ছিলেন আমরা সবাই তার অনুগামী ছিলাম।এখন আমি সভাপতি। সবাই বিজেপির অনুগামী, পতাকার অনুগামী। মেনে নিতে হবে এটা৷' এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্য়ের সরকারি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, এই অস্যুতে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সংবিধান মেনে বিরোধীর অধিকার আছে। এরাজ্যে সেটা মানা হয় না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেস, বিজেপি উন্নয়নে রাজনীতি করে না। তাদের অগ্রগতি হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য এরাজ্যে আগে রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। যে আমাকে হারিয়েছেন, তাঁকে তো সন্মান করতে হবে। এরা শেখেনি।' তবে এখানেই শেষ নয়, রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত এখনও জারি রয়েছে। যার জেরে সম্প্রতি , রাজ্যপালকে কেন আসছেন বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন অধ্যক্ষ। এদিকে এই ঘটনায় পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, 'অধ্যক্ষের সেই ক্ষমতা আছে কিনা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে দেখা উচিত।'