সংক্ষিপ্ত
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন হচ্ছে কলকাতা সহ রাজ্যের জেলায় জেলায়। 'লক্ষীর ভান্ডার' -সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো পদর্শন চলছে জেলায়।
প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2022 ) উদযাপন হচ্ছে কলকাতা সহ রাজ্যের জেলায় জেলায়। ইতিমধ্য়েই কলকাতার রেড রোডে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণা সহ একাধিক জেলায় পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। একাধিক সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো পদর্শন চলছে জেলায়। এদিন সাঁওতালি ভাষার বক্তব্য রাখলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।
৭৩ তম সাধারনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে পালিত হচ্ছে দিনটি। সকালেই পৌছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে কোভিড বিধি মেনে পালিত হয় সাধারনতন্ত্র দিবস উদযাপন। সকাল ৯ টা বেজে ৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা। উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সম্মিলিত বাহিনী পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ৭৩ তম সাধারনতন্ত্র দিবসের মূল আকর্ষন ছিল সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ প্রদর্শন। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সামাজিক কল্যানমূলক কাজের উদাহরন তুলে ধরে ১১ টি ট্যাবলো প্রদর্শন করে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ট্যাবলো ছিল রায়গঞ্জ পুরসভা আয়োজিত 'লক্ষীর ভান্ডার' প্রকল্পের ট্যাবলো। অনুষ্ঠানের মাঝেই জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে সাধারনতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভাষণ দেন উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা। পাশাপাশি পুরুলিয়া মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার পুলিশ সুপার এস.সেলভা মুরুগান। প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার পুরুলিয়ার একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচি তুলে ধরেন।এদিন বাংলায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি জেলাশাসক রাহুল মজুমদার সাঁওতালি ভাষার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন, Republic Day 2022: 'সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই', প্রজাতন্ত্র দিবসে টুইট মমতার
অপরদিকে, ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস । মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করলেন। উপস্থিত ছিলেন এসিপি ২ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের এম রহমান। কুচকাওয়াজ এবং নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় ।এদিন ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাত কাছারি ময়দানে। তবে কোভিডের জেরে এবছরও করোনা আবহে বারাসাত কাছারি ময়দানে খুব একটা জাঁকজমক নেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। প্রতিবছরই প্রশাসনিক গত ভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রশাসনিক দপ্তরের আধিকারিকদের কুচকাওয়াজের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় প্যারেডে অংশ নিচ্ছে না স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। শুধুমাত্র পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স এবং আফগানি দপ্তরের বিশেষ প্লাটুন অংশ নেয় প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ কুচকাওয়াজে। বুধবার দেশের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বারাসাত কাছারি ময়দানে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উপস্থিতিতে পালিত হয় এই দিনটি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিনটির সূচনা করেন জেলাশাসক। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এরপর জেলাশাসক সুসজ্জিত জিপে করে সমগ্র প্যারেড পরিদর্শন করেন। এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জনমুখী প্রকল্পসমূহ সুসজ্জিত ট্যাবলো কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি । এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এই দিনটি ভারতের তিনটি জাতীয় দিবসের অন্যতম। এই দিনটিকে নয়াদিল্লিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যেমন ভাবে পালন করেন সেই রকম ভাবেই পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটিকে পালন করা হয় সারা দেশে।