শুভেন্দুর নিশানায় মমতার সরকার এবং রাজ্যপাল। বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি উল্লেখ করেনি শাসকদল। সরকারের লেখা ওই ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলিকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে না হতেই চরম বিশৃঙ্খলা। ভাষণ অসম্পূর্ণ রেখেই বিধানসভা ছাড়লেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন, বিজেপির বিক্ষোভে বক্তৃতা শেষ হল না রাজ্যপালের, প্রথমদিনই বিধানসভায় তুমুল বিশৃঙ্খলা
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। রাজ্যপালের ভাষণের যে বক্তব্য রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছিলেন, সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও উল্লেখ নেই। ভোটের পর আমাদের ৪১ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৩০০ জনেরও বেশি মহিলাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। কেউ কেউ ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন। কিন্তু উল্টে বলা হয়েছে, নতুন সরকারের গঠনের আগেই হিংসা। এই দায় নির্বাচন কমিশনের। হিংসার কথা উল্লেখ করা হলে আমরা প্রতিবাদ করতাম না।' তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যপালের ভাষণ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ক্যাবিনেটের লিখে দেওয়া ভাষণ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর একাধিক মহিলার উপর অত্যাচর হয়েছে। সেই ছবিগুলি দেখালাম। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই প্রতিবাদ করছি। আমরা স্লোগানের মাধ্যমে আমাদের ব্যাথা বেদনা প্রকাশ করেছি। তবে আমাদের বিধায়করা অধিবেশনে অংশ নেবেন। সোমবার শোকপ্রস্তাবে যোগ দেব। রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হোক।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়ে সভায় তুমুল হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বক্তৃতা অসমাপ্ত রেখেই বিধানসভা ছাড়তে বাধ্য হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বক্তৃতা শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্য়েই থামিয়ে দিতে বাধ্য হন। তিনি বক্তৃতা দেওয়া শুরু করতেই বিধানসভায় বিরোধী বিধায়করা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাজ্যপাল বক্তৃতা থামিয়ে দেওয়ার পর, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য়পালকে তাঁর গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। উল্লেখ্য, আপাতত মুলতুবি রাখা হয়েছে সভার কাজ।