'নথিতে ধনখড় তাহলে কে', কী সেই 'জৈন হাওয়ালা মামলা', তৃণমূলের রহস্যভেদে চাপের মুখে রাজ্যপাল

  • সুখেন্দু শেখরের দেওয়া বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ
  • 'চার্জশিটে তাঁর নাম নেই' বলে দাবি রাজ্যপালের 
  • নথিতে 'ধনখড়' কে, অভিযুক্তের তালিকায় রাজ্যপাল
  • কী সেই 'জৈন হাওয়ালা মামলা', রইল হদিশ

Asianet News Bangla | Published : Jul 2, 2021 7:59 AM IST / Updated: Jul 02 2021, 01:46 PM IST

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের। দুর্নীতি ইস্যুতে আরও তীব্র করল রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া। ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডে দেবাঞ্জনের রক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি থেকে শুরু করে এবার জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালের উপর তোপ দাগল মমতার সরকার। যদিও হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম নেই বলে দাবি রাজ্যপালের।

আরও পড়ুন, দেবাঞ্জনের নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি প্রকাশ্যে, তৃণমূলের নিশানায় ধনখড়

 নথিতে 'ধনখড়' নামে ব্যাক্তিটি তাহলে কে ?


উল্লেখ্য, একদিকে জৈন হাওয়ালা মামলার নথি তুলে দেখাল সেখানে জগদীপ ধনখড়ের নাম রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মামলার আইনি জটিলতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তার ট্রায়ালই হয়নি। অথচ রাজ্যপাল বলেছেন চার্জশিটে তাঁর নাম নেই। এরপরেই রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দ শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছেন, নথিতে এই ধনখড় নামে ব্যাক্তিটি তাহলে কে, সেটা রাজ্যপালই জানান।' বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সুখেন্দু শেখর বলেছেন, ২৮ জুন মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্র জৈনের। হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযোগ তোলার পরেই মৃত্যু হয়েছে। প্য়ানিক অ্যাটাকে মৃত্যু নাকি এটা কাকতালীয় ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হোক। রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্থ, অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।' 

সুখেন্দু শেখরের দেওয়া বিস্ফোরক তথ্য এল সামনে


সুখেন্দু শেখরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩ এপ্রিল ১৯৯০ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জগদীপ ধনখড় ভিপি সিংহের জনতা সরকারের সংসদীয় মন্ত্রকে ডেপুটি মন্ত্রী ছিলেন। তারপর চন্দ্রশেখররে মন্ত্রিসভায় ১৯৯১ এর মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব মন্ত্রকের ডেপুটি মন্ত্রী ছিলেন একই ব্যাক্তি। সেই সময়ই জৈন হাওয়ালা কাণ্ড ঘটে। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ ,'সেই মামলা চলাকালীন একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সেই ধনখড় আর এই ধনখড় একই ব্যাক্তি কিনা, তা ধনখড়রাই বলতে পারবেন।' 
 

আরও পড়ুন, সাতসকালেই ঘুম ভাঙালেন রাজ্যের, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে প্রতারক দেবাঞ্জন ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

কী সেই 'জৈন হাওয়ালা মামলা' ?

১৯৯১ সালে কাশ্মীর থেকে এক হিজবুল জঙ্গিকে দরাল হয়েছিল। আশফাক হুসেন লোন নামক সেই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমেই টাকা আসত ওই জঙ্গি সংঘটনের হাতে। আশফাক জানায়, সেই টাকা আসত, সুরেনদ্র কুমার জৈন নামক এক শিল্পপতির কাছ থেকে। এই হাওয়ালরা জৈনের আত্মীয়রাও জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। আশফাকের সেই বয়ানেই ভিত্তিতেই তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। খোঁজ মেলে জৈনের আর দুটি নোটবুক।  কবে কাকে কত টাকা দিয়েছে, তা সেখানে লিখে রেখেছিলেন জৈন। আর সেই বিস্ফোরক তালিকাই প্রকাশ্য়ে আসে।

আরও পড়ুন, সত্যজিৎ-র জন্ম শতবার্ষিকীতে 'জলসাঘর' গোখেল কলেজে, মহারাজাকে সেলাম জানাবে অর্পণা-শর্মিলারাও

ডায়রিতে নাম ছিল খোদ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীরও !

 তদন্তকারীরা দেখতে পায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী-প্রাক্তণ উপপ্রধান মন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানী সহ ৪২ জন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের নাম রয়েছে সেই ডায়েরিতে। এদিকে অভিযুক্তরা কেউই টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি। মেলেনি প্রমাণও। এমনকি এই মামলায় প্রভাবশালীদের ইঙ্গিতে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদেরও বদল করানোর অভিযোগ ওঠে। এবং পরে সেই মামলা ধামাচাপা দেওয়া হয়। আর ৩০ বছর পরে সেই মামলারই কথা তুলে আনেন মমতা। রাজ্যপাল যার জবাবে বলেছেন, অজিত পাঁজার নাম ছিল হাওয়ালার চার্জশিটে, কিন্তু আপনাদের রাজ্যপালের নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণও নেই।'

 

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে 

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

Share this article
click me!