দুর্দান্ত রণনীতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বিজেপি, ১৩ সেপ্টেম্বর কোন পথে হবে নবান্ন অভিযান?

“নবান্ন অভিযানকে গণ আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। বিরাট সংখ্যায় জমায়েত করতে হবে”, বার্তা দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের। 

Sahely Sen | Published : Sep 10, 2022 4:47 AM IST

১৩ সেপ্টেম্বর আসতে বাকি আর মাত্র ২ দিন। মঙ্গলবারই দুর্দান্ত রণকৌশলে মহানগরীর রাজপথে বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে শুক্রবারই অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে পদ্ম শিবির। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, মোট তিনটি মিছিল তিন দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নবান্নের দিকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে মিছিল নিয়ে কতদূর পর্যন্ত এগোনো যাবে, তা নিয়ে এখনও অবদি অনিশ্চয়তা থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ঠিক হয়েছে যে, প্রতিটি মিছিলকেই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নবান্ন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।

কলকাতার দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গ বিজেপিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল বার্তা দিয়েছেন, “নবান্ন অভিযানকে গণ আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। ব্যাপক সংখ্যায় জমায়েত করতে হবে। শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে মানুষজনকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে যুক্ত করতে হবে।”

পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা সমস্ত কর্মী-সমর্থকরা শিয়ালদহ বা কলকাতা স্টেশনে নেমে চলে আসবেন কলেজ স্ট্রিটে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনার কর্মীরা সকলে সেখানে পৌঁছে যাবেন। সেখান থেকে মিছিল হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে। অন্য দিকে, হাওড়া স্টেশনে আসা দলীয় সমর্থকরা চলে যাবেন হাওড়া ময়দানে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলির কর্মীদের জমায়েত হবে হাওড়া ময়দানে। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃতীয় মিছিলটি শুরু হবে সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড থেকে। সেটির নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে যে কর্মীরা সড়কপথে আসবেন, তাঁদের জমায়েত হবে সাঁতরাগাছিতে।

শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল সাঁতরাগাছি থেকে সোজা এগোবে নবান্নের দিকে। ওই মিছিলেন শুভেন্দু ছাড়াও থাকবেন রাহুল সিনহা এবং দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সৌমিত্র খাঁ। সুকান্তের মিছিল হাওড়া ময়দান থেকে এসে রবীন্দ্র সেতু পার হয়ে গিয়ে ব্রেবোর্ন রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রাস্তা ধরবে। এই মিছিলে সুকান্তর সঙ্গে থাকবেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং শান্তনু ঠাকুর। এ ছাড়াও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য ও সাংসদ এসএস অহলুওয়ালিয়ার থাকার কথা রয়েছে। দিলীপ ঘোষের মিছিলে থাকবেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক দীপক বর্মন, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই মিছিলটি কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলা হয়ে বিদ্যাসাগর সেতু ধরবে।

নবান্ন অভিযানকে লক্ষ্য রেখেই নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে বাংলার বিজেপি। রণনীতির মূল প্রেক্ষাপট হল, ‘গ্রাম যার, বাংলা তার’। তাই, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে নবান্ন অভিযানে যোগ করে শাসকদলকে ব্যাপক হুঁশিয়ারি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে গেরুয়া মহলে।

আরও পড়ুন-
তিব্বতের ‘তোরমা’-র আদলে তেলেঙ্গাবাগানের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ, আবহ সুর বুনেছেন বাংলার বিখ্যাত গায়ক সিধু
উৎসব নয়, উদযাপনের রীতি মানতেই এবছর বিজেপির শেষ দুর্গাপুজো?
স্বাদযুক্ত দুধ আসলে দুধ নয়! এবার বসতে পারে ১২ শতাংশ জিএসটি

Read more Articles on
Share this article
click me!