সংক্ষিপ্ত
বাংলার একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেছে গেরুয়া শিবির। তাই এর প্রভাব পড়তে পারে দুর্গাপুজোতেও।
বঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে পুজো পুজো রব। নবান্ন থেকে হেস্টিংস, সর্বত্র পুজোর আলোচনা শুরু। এবছর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির তৃতীয় দুর্গাপুজো। তবে, বাংলার একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেছে গেরুয়া শিবির। তাই এর প্রভাব পড়তে পারে দু্র্গাপুজোতেও। শোনা যাচ্ছে, রীতি পালনের জন্য ২০২২ সালে সল্টলেকের EZCC-তে বিজেপি দুর্গাপুজো করবে ঠিকই, তবে, আয়োজন হচ্ছে একেবারেই নমো নমো করে। তৃতীয় বারের পুজো সম্পন্ন হয়ে গেছে বাংলায় এর পরের বছর থেকে আদৌ বিজেপির দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
২০২০ সালে করোনা আবহে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। ধুতি, পাঞ্জাবি পরে বাঙালির চিরাচরিত সাজে সেজে ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একুশের নির্বাচনকে সামনে রেখে কলকাতায় দুর্গাপুজোর আয়োজনকে বিজেপির ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় পরাজয়ের পর আর দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়ে গতবছরেই সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু হিন্দু লোকাচারে এমন রীতি চালু রয়েছে যে, কোনও ব্রত বা পুজো এক বার পালন করলে পর পর ৩ বার পালন না করা পর্যন্ত তা থামানো অমঙ্গলকর। হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী বিজেপি শিবির সেই রীতি ভাঙতে চায় না। তাই, এ বার পুজো হলেও তা উৎসবের মেজাজে নয়, হবে উদযাপনের রীতি পালনের তাগিদে। তা ছাড়া, পুজো মাঝ পথে বন্ধ করা হলে আমজনতার কাছেও ভুল বার্তা যেতে পারে। সেই কারণে গতবছরও ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজো করেছিল পদ্ম শিবির।
একই আশঙ্কা ২০২২-এও। গেরুয়া শিবির অবশ্য নিশ্চিত করেছে যে, এবছরও হবে দুর্গা আরাধনা। কিন্তু তা নিতান্তই নমো নমো করে, একেবারে সাদামাটাভাবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত এটাই কলকাতায় বিজেপির শেষ দুর্গাপুজো। কারণ, এবছর পুজোর তৃতীয় বর্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে যাঁরা দলের পুজোর দায়িত্বে ছিলেন, বিধানসভায় পরাজয়ের পর তাঁদের অধিকাংশই এখন দলে নেই। কেউ বিজেপি ছেড়েছেন, কেউ আবার সক্রিয় সদস্য নন। সেই কারণেই গতবছরও পুজো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দিলীপ ঘোষ বনাম সুকান্ত মজুমদার নিয়েও উঠেছিল গুঞ্জন। পুজো নিয়ে দু’জন আলাদা আলাদা মত জানিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ পুজো হয়েছিল। কিন্তু জাঁক জমকে পরিপূর্ণভাবে নয়, কোনওমতে সারা হয়েছিল সেই পুজো। একই কারণে এবারও বিজেপির দুর্গাপুজো নিয়ে দোলাচল।
আরও পড়ুন-
নবী সম্পর্কে ফের বিতর্কিত মন্তব্য, হায়দরাবাদে গ্রেফতার করা হল বিজেপি বিধায়ককে
ফের নবান্ন অভিযানের ডাক বঙ্গ বিজেপির, ১৩ সেপ্টেম্বর কর্মসূচির সম্ভাবনা
এবার নজরে রাজ্যের সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ দুর্নীতি, নাম জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের