ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন মমতা, প্রিয়াঙ্কার হারের পরও এই ফলাফল নিয়ে কেন আপ্লুত সুকান্ত

ভবানীপুর উপনির্বাচন সুকান্তর কাছে অগ্নিপরীক্ষা বলা যেতেই পারে। এই পরীক্ষায় তাঁদের দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জয়ী হতে পারেননি। যদিও এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারেনি বিজেপি। তবে ফল যাই হোক না কেন মমতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সুকান্ত। 

Asianet News Bangla | Published : Oct 3, 2021 12:49 PM IST

দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) সরিয়ে গত মাসেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসানো হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। তিনি রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম নির্বাচন। আর ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election) তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা বলা যেতেই পারে। এই পরীক্ষায় তাঁদের দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল (Priyanka Tibrewal) জয়ী হতে পারেননি। যদিও এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারেনি বিজেপি (BJP)। তবে ফল যাই হোক না কেন মমতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সুকান্ত। 

রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ভবানীপুর আসন নিজের দখলে রাখলেন মমতা। ফের 'ঘরের মেয়ে'-র হাতেই থাকল ভবানীপুরের দখল। ২০১১ সালের ভবানীপুরের উপনির্বাচনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এবার ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তবে মমতার জয়ের বিষয়ে ভোটের আগে থেকেই আশাবাদী ছিল তৃণমূল। বিপুল পরিমাণ ভোটে তিনি জিতবেন বলে জানিয়েছিলেন দলের প্রথমসারির নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, "ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত। ৫০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জিতবেন তৃণমূল নেত্রী। আমাদের কাছে মমতার ভোট লড়াই একটা উৎসব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত জিতবেন, সবাই জানে। কত ভোটে জিতবেন, তার প্রতিক্ষায় সবাই।" তাঁর কথাই সত্যি হয়ে গেল নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর। 

আরও পড়ুন- ২০১১-সালের রেকর্ড ভাঙলেন মমতা, তৃতীয়বার ভবানীপুর জয় 'ঘরের মেয়ে'-র

আরও পড়ুন- 'আমি স্বার্থপর নই' ভবানীপুরে জয়ের পর কেন একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এই জয়ের পর মমতাকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সুকান্ত বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু জয়লাভ করেছেন তাই তাঁকে অভিনন্দন জানাই। বিজেপি সব সময় জনগণের রায় মাথা পেতে নেয় আগেও নিয়েছে।" তবে এর সঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, "তবে এটা কতখানি জনতার রায় প্রতিভাত হয়েছে তানিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ মাত্র ৫৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে এসেছেন। কিন্তু বৃহৎ অংশের মানুষ ভোট দিতে পারেননি বা আসেননি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল যে এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেবেন। তা পারেননি। মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন।"

আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিল নয়, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

কিন্তু, যেখানে তাঁদের দলীয় প্রার্থী হেরে গেলেন সেখানে হঠাৎ মমতার জয়ের পর আপ্লুত কেন হলেন সুকান্ত? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা সত্যিই আপ্লুত। যে এত সংখ্যক মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আর এই ভোট আমাদের আগামীদিনের লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে।" এরপর ৩০ অক্টোবর গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দা ও দিনহাটায় উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে বিজেপি ভালো করবে বলে আশাবাদী রাজ্য সভাপতি।

Share this article
click me!