ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কায় আত্মঘাতী দমদম পার্কের বিজেপি কর্মী। বছর চল্লিশের মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম প্রসেনজিৎ দাস। রবিবার সাতসকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দমদম পার্কের হরিচাঁদপল্লি এলাকায়।
আৎও পড়ুন, BJP বিধায়ককে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, 'ক্ষমতার দম্ভ না দেখানোই ভাল', হুঁশিয়ারী শুভেন্দুর
পরিবার সূত্রে খবর, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই হামলার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন দমদম পার্কের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তখনই এলাকার দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ পরিবারের। তারপর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন প্রসেনজিৎ। রবিবার সকালে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে শেষ অবধি আত্মঘাতী হন ওই যুবক। পরিবাররের অভিযোগ, নিগ্রহের আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রসেনজিৎ।প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রক্ত ঝরছে বিজেপির কর্মীর। বিজেপির কার্যকর্তা বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার খুনের পাশাপাশি বারুইপুর সহ একাধিক জায়গায় খুন হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এবং প্রতিবারই কাঠগড়ায় তৃণমূল। সম্প্রতি রাজ্যপাল বলেছিলেন, ' গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক এমন অনর্থক হিংসা, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। এই অরাজকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, কেন গণতন্ত্রের উপরে এই হামলা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি ইঙ্গিত উঠে আসছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন।'
আরও পড়ুন, আসছে ঘূর্ণিঝড় 'যশ', মোকাবিলায় আজই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মোদী
যদিও বিধাননগর পৌরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা চক্রবর্তী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাউন্সিলর শম্পা চক্রবর্তী বলেছেন, দমদম পার্কের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ায় অনেকমাস ধরেই ঘর থেকে বের হতেন না ওই যুবক। মানসিক অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।