রাজ্য়জুডে় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুসলিমদের আতঙ্ক কাটাতে এবার ময়দানে নামছে বিজেপি। দিল্লির নির্দেশে ৫জানুয়ারি থেকে মুসলিমদের ঘরে ঘরে প্রচার করবে গেরুয়া ব্রিগেড। সংখ্যালঘুদের সিএএ নিয়ে ভীতি দূর করতে নামানো হবে দলের সংখ্যালঘু মুখ।
রাজ্য়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খোদ এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে একাধিক পথসভা করেছেন মমতা। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার বাজারে এই বিষয়ে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার মমতার হাত থেকে 'নাগরিকত্বের ব্যাটন' ছিনিয়ে নিতে ছাইছে বিজেপি। এই বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার মিছিল অক্সিজেন জুগিয়েছে দিলীপ ঘোষদের। যার জেরে ৫ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি সিএএ নিয়ে প্রচারে নামছেন মুরলীধর স্ট্রিটের কর্তারা। বিশেষ করে নজর দেওয়া হয়েছে মুসলিম অধ্যুষ্যিত এলাকায়। যেখানে সংখ্যালঘুদের বোঝাতে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চিত্র বলছে,সিএএ -এনআরসি নিয়ে প্রশ্নমালা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল, সিপিএম। কিন্তু সেভাবে প্রচারে ঘর গোছাতে পারেনি বিজেপি। বেশিরভাগ জায়গাতেই নেতাদের মধ্য়ে সিএএ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নেতাদের দ্বন্দ্ব দূর করতে শুরু হয়েছে পাঠশালা। যেখানে হাতে কলমে রাজ্য়বাসীর ভীতি দূর করতে হবে তা বোঝাচ্ছেন বিজেপির নেতারা। শীঘ্রই লিফলেট , ছোট পথসভা বাদেও ঘরে ঘরে প্রচার চালাবেন এই পাঠশালা উত্তীর্ণরা।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নাগরিকত্ব আইনে সিলমোহর দিতেই অগ্নিগর্ভ হয়েছে রাজ্য়। বেশিরভাগ জায়গায় তাণ্ডবে ট্রেন, বাস পুড়েছে। খোদ জনসভায় দাঁড়িয়ে পোশাক দেখে বিক্ষোভকারী কারা তা স্মরণ করিয়েছেন মোদী। প্রথমে আগ্রাসী মনোভাব নিলেও এবার সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কিছুটা নরম হতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। তাই সংখ্যালঘুদের না চটিয়ে উল্টে তাদের মন পাওয়ার চেষ্টায় নামছে দল।