বেশ কিছুক্ষণের জন্য কালীঘাট এলাকায় ব্যাপক যানজটও দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত ওই এলাকায় ছুটে যায় পুলিশ। শুরুতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের একদফা ধস্তাধস্তিও হয় বলে খবর। আটকও করা হয় ১৫ থেকে ১৬ জন আন্দোলনকারীকে।
শুক্রবার সকাল থেকেই টেট পরীক্ষার্থীদের(TET Examinee) আন্দোলনের দফায় দফায় উত্তাল হয় তিলোত্তমা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ৬০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। অন্যদিকে এবার অন স্পট কাউন্সেলিং এর নোটিসের দাবিতে যোগ্য অথচ বঞ্চিত নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়াল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) বাড়ির এলাকায়। এমনকী কালীঘাট মোড়ে দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ। বেশ কিছুক্ষণের জন্য কালীঘাট এলাকায় ব্যাপক যানজটও দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত ওই এলাকায় ছুটে যায় পুলিশ(Kolkata Police)। শুরুতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের একদফা ধস্তাধস্তিও হয় বলে খবর। আটকও করা হয় ১৫ থেকে ১৬ জন আন্দোলনকারীকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অন স্পট কাউন্সেলিং(On-spot counseling) এর নোটিসের দাবিতে যোগ্য অথচ বঞ্চিত নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে এর আগেও একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকী একাধিকবার সরাসরি মমতার বাড়িতে ঢোকারও চেষ্টা করেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রতিবারই আগাম খবর পেয়ে তাদের পথ আটকায় পুলিশ। তবে এবারের চিত্রটা ছিল খানিক ভিন্ন। পুলিশকে এড়াতে একাধিক রাস্তা দিয়ে মিছিল করে এগোতে থাকে আন্দোলনকারীরা। উদ্দেশ্য একটাই স্বচ্ছ পদ্ধতিতে চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডেপুটেশন জমা। কিন্তু কালীঘাট চত্বরে আসতেই তাদের পথ আটকায় পুলিশ। তখনই রাস্তায আটকে অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এসে তাদের প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় বলপূর্বক তাদের তোলার চেষ্টা করা হলে তাদের সাথে পুলিশের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী তুমুল ধস্তাধস্তি, গ্রেফতার ৬০
সূত্রের খবর, SLST-র বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মঞ্চের তরফেই এদিনের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে নোটিশ বেরিয়েছিল প্রথম। তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলেও যোগ্যা প্রার্থীরা সুযোগ পাননি। ভিতর থেকে অনেক কারচুপি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। গত প্রায় দু বছরের কাছাকাছি সময় ধরে তারা স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানালেও সরকার এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। তাই বর্তমানে তারা দ্রুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হ্স্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তা না করা হলে আগামীতে তারা আরও বড় আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। এদিকে এদিনের এই আন্দোলন নিয়ে সরকারের তরফে এখনও বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি