ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার গাফিলতিতে ১০দিনের শিশু প্রায় মৃত্যুর মুখে। ওয়ার্মারের তাপে প্রায় ঝলসে গেল ওই সদ্যজাতের দেহ।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বুকে ঘটে গেল চিকিৎসায় গাফিলতির মারাত্মক ঘটনা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। চিকিৎসার গাফিলতিতে ১০দিনের শিশু প্রায় মৃত্যুর মুখে। ওয়ার্মারের তাপে প্রায় ঝলসে গেল ওই সদ্যজাতের দেহ। এমনই ঘটনা ঘটেছে ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে আপাতত ওই শিশুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলেই খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুরের বাসিন্দা এক প্রসূতির সন্তানকে নিও-নেটাল কেয়ারের ওয়ার্মারে রাখা হয়। কিন্তু আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায় ওই মেশিনে। ফলে চাপ বাড়তে থাকে। এতটাই তাপ ওয়ার্মারে বেড়ে যায়, যে শিশুটির দেহ প্রায় ঝলসে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের। বৃহস্পতিবার রাতে নয়মতারা সর্দারের ১০দিনের সন্তানের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।
সারা শরীর পাথর হয়ে যাচ্ছে, বিরল রোগে আক্রান্ত পাঁচ মাসের ছোট্ট মেয়ে
আকাশ থেকে আচমকা আক্রমণ, মুহুর্তে সব শেষ- বিশ্বের চমকে দেওয়া ড্রোন হামলা এক নজরে
ক্যামেরার সামনেই মহিলার শাড়ি টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচনের নামে ধুন্ধুমার যোগীরাজ্যে
নয়নতারা সর্দারের পরিবারের দাবি, নিও নেটাল ওয়ার্ডে ওয়ার্মারে যে কৃত্রিম আলো শিশুদের দেওয়া হয়, সেখানেই রাখা হয়েছিল ওই সদ্যোজাতকে। শুক্রবার দুপুরে আচমকাই নয়নতারা সর্দারের নজরে পড়ে, তাঁর শিশুর শরীর ক্রমশ সাদা হতে শুরু করেছে। চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। ছুটে আসেন চিকিৎসকরা।
দ্রুত ওই সদ্যোজাতকে অন্য বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা শুরু হয় সদ্যোজাতের। আপাতত শিশুটি সুস্থ বলে জানা গিয়েছে। তবে সঠিক সময়ে ওয়ার্মার থেকে বের করে না আনা হলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করা হচ্ছে।