উপনির্বাচনে ভালো ফল আসার জন্য আসানসোল-বালিগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উপনির্বাচনে ভালো ফল আসার জন্য আসানসোল-বালিগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন 'এই জয় নববর্ষের উপহার।' এই জয়ের জন্য ভোটেরদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনায়। তবে এবার শুরু থেকেই বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বড় ব্যবধানে সবাইকে পিছনে ফেলে এগোতে থাকেন। যদিও বিরোধীরদের মধ্যে এবার উল্লেখযোগ্য, প্রথম থেকেই দ্বিতীয় স্থান বজিয়ে রেখেছেন সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তৃতীয় স্থানে সকালে দিকে কংগ্রেস থাকলেও , পরে সেই স্থান দখল করে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। তবে বাবুলের বালিগঞ্জ জয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে ঘাসফুল শিবিরয। ওদিকে আসানসোলে পরপর দুইবারের জয়ী গেরুয়া শিবিরের ট্রেন্ড ভেঙে , অগ্নিমিত্রাকে পিছনে ফেলে একা টেনে যাচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাবুল সুপ্রিয়ো আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৩৭ ভোটে জয় করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শত্রুঘ্ন সিনহা সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন। শনিবার দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে পাওয়া খবরে তৃণমূল কংগ্রেস ২ লক্ষ ১১ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন, বালিগঞ্জে গণনার শুরুতেই এগিয়ে বাবুল, ধার ঘেষে বেরোল দিলীপের তোপ
যদিও অন্য ব্যাক্ষা দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এহেন হারের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,'বালিগঞ্জে তো আমরা প্রতিযোগীতাতেই নেই। ওখানে ৪০ শতাংশের উপরে সংখ্যা লঘু ভোটার। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেখানে প্রতিযোগীতায় থাকার কথা নয়। যাদের লড়ার তাঁরা লড়েছে। তবে সংখ্যা লঘু ভোটটাও এখন তৃণমূলের জন্য ধীরে ধীরে কমছে। আগামীদিনে আরও কমবে বলে মনে হয়।' প্রসঙ্গত, এদিন ভোট গণনার শুরুতেই বালিগঞ্জে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে যখন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, তখনই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম পার্থী সায়রা শাহ হালিম। তারপর কংগ্রেস প্রার্থী পেরিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরের দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি এগিয়ে আসে। তবে সায়রাকে টপকাতে পারেনি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ।প্রথমবার উপনির্বাচনের দাঁড়িয়ে প্রায় হেভিওয়েট বাবুলের সমানে সমানে একা হাতেই ব্যাটিং করলেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বলতে গেলে একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের অনেক নতুন মুখই দেখা গিয়েছিল প্রার্থী পদে। তবে এভাবে সায়রার মতো লড়াই করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, বালিগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬৪ এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে পিছিয়ে গেল তৃণমূল। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে এটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। আর এই জায়গাটাকেই নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার।