তবে সাতদিনের জন্য জামিন পেলেও একাধিক শর্ত মানতে হবে গৌতমকে। সব সময়ের জন্য তাঁর পাশে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
মা অসুস্থ। আর সেই কারণ দেখিয়ে সাত দিনের জামিন পেলেন রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু। শুক্রবার তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ৯ অগাস্ট থেকে সাত দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগামী ১৬ অগাস্ট তাঁকে ফের জেলে ফিরতে হবে।
সূত্রের খবর, আগে করোনার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন গৌতম কুণ্ডু। কিন্তু এখনও তাঁর বিরুদ্ধে যেহেতু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত করছে তাই জামিন মঞ্জুর সম্ভব নয় বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল। তারপর মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বতী জামিনের জন্য আবেদন করেন তিনি। সেই জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ৫০ হাজার টাকা নগদ ও ১০ হাজার টাকার দুটি সিকিওরিটি বন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে সাতদিনের জন্য জামিন পেলেও একাধিক শর্ত মানতে হবে গৌতমকে। সব সময়ের জন্য তাঁর পাশে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর ১৬ অগাস্ট সকাল ঠিক সাড়ে ১০টার সময় ফের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন ঘরবাড়ি, চরম ভোগান্তি বাসন্তীর বাসিন্দাদের
সম্প্রতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন রোজ ভ্যালিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তথা প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত।
আরও পড়ুন- 2022 ICSE And ISC Exam : বড় ঘোষণা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষকে ভাগ করা হল দুটি সেমিস্টারে
২০১৫ সালে রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ইডি। ইডি সূত্রের খবর, তিন হাজারের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল গৌতমের। বাজার থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। তবে তাঁর জাল শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ওড়িশা ও ত্রিপুরাতেও বিস্তৃত ছিল এই জাল। আর সেখানেও একাধিক মানুষের থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তদন্তে নেমে তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল ও নানা ধরনের নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- রাতে মুখে ঢাকা দিয়ে গাছ চুরি, সিসিটিভিতে ধরা পড়ল চোরের কীর্তি
তবে গ্রেফতারির আগে ও পরে প্রায় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট লোকজনকে সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন গৌতম। এই ঘটনায় আগে তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।