দড়ি বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার, গঙ্গারামপুর কাণ্ডে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টে-এর

  • গঙ্গারামপুরে মহিলাকে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচ়ড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
  • ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
  • দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
  • ঘটনায় জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম
     

debamoy ghosh | Published : Feb 3, 2020 3:11 PM IST


গঙ্গারামপুরে এক মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির(ডিএলএসএ) কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিও- য় দেখা ঘটনাটির সত্য়তা যাচাই করা ছাড়াও এই ঘটনায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কি না,  ডিএলএসএ- কে অবিলম্বে সবিস্তার রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন-এর   ডিভিশন বেঞ্চ। 

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৪ কিলোমিটার লম্বা একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, প্রায় গোটা রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেলেও গ্রামেরই বাসিন্দা এক মহিলার আপত্তিতে পাঁচশো মিটার রাস্তার কাজ প্রায় এক বছর ধরে আটকে ছিল। ওই মহিলার দাবি, রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে তাঁর জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ অথচ তাঁকে জানানো হয়নি৷ এই নিয়ে শুক্রবার গ্রামবাসীদের সঙ্গে মহিলার গন্ডগোল শুরু হয়। 

আরও পড়ুন- দড়ি বেঁধে টানা হলো মহিলাকে, নির্মম অত্যাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

অভিযোগ, গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা মহিলাকে মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে তাঁর ঘরের সামনে নিয়ে যায়৷ এই ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ নির্যাতিতা মহিলার দাবি, নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের উপপ্রধান অমল সরকারের নেতৃত্বেই তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়।

এ দিন সকালে আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। তার পরেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। 

এ দিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম গোবিন্দ সরকার ও তপন শীল। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

Share this article
click me!