আজ ৪ হেভিওয়েটের ভাগ্য নির্ধারণের দিন, নারদকাণ্ডের জামিন নিয়ে মতামত জানাবে হাইকোর্ট

  •  নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৪ জন 
  • আজ  ৪ হেভিওয়েটের ভাগ্য নির্ধারণের দিন
  •  'কোভিডের সময় এভাবে আটকে রাখা যায় না'
  • বুধবারই প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক মনু সিংভি
     

Ritam Talukder | Published : May 20, 2021 3:59 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 12:47 PM IST

নারদকাণ্ডের জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার মতামত জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সুব্রত-ফিরহাদ-মদন-শোভনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন, নজরে ৯ জেলার কোভিড পরিস্থিতি, আজ মুখোমুখি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী 

 উল্লেখ্য,সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।  বুধবার ভার প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন পুনর্বিবেচনায় এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে।  কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে,  নারদ-মামলায় ওই  ৪ নেতা-মন্ত্রীকে জামিন দেওয়া হবে কিনা,  বৃহস্পতিবার সেবিষয়ে মতামত জানাবে। বুধবার হাইকোর্টে সওয়াল করেন সিবিআই আইনজীবি। পাল্টা প্রশ্ন, 'করোনা পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের কি জেলে রাখা জরুরী। উত্তরে আইনজীবী তুষার মেহেতা বলেছেন, 'অভিযুক্তরা জেলে নেই, হাসপাতালে আছেন।' পাশাপাশি, অভিষেক মনু সিংভি প্রশ্ন তুলেছেন , অভিযুক্তদের না জানিয়ে মামলা হল কীভাবে। সিবিআই নানা কৌশলে জেলে ঢোকাতে চাইছে। তিনি আরও  সওয়াল করেন, ৭৫ বছরের বেশি বয়স সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের। কোভিডের সময় এভাবে আটকে রাখা যায় না।'

আরও পড়ুন, আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণ শহরে, বাংলা-ওড়িশায় আঘাত হানতে আসছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ'  

 প্রসঙ্গত, সোমবার ৪ জন নেতা- মন্ত্রীকে বিনা নোটিশে গ্রেফতার করা হয়। তবে বুধবার শুনানি চলাকালীন এপ্রসঙ্গে সিবিআই-র আইনজীবী সাফ বলেছেন, এঁরা সকলেই প্রভাবশালী। আগামীতে কেউ গ্রেফতার হলে, এমনই হবে।'  তুষার মেহেতা আরও বলেছেন, 'সেদিন বাইরে বেরোতে পারেননি  সিবিআই আধিকারিকরা। অফিসের বাইরে বিশাল জমায়েত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ৬ ঘন্টা ধর্ণায় বসে ছিল। সেদিনের বিক্ষোভ পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।'প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুর ১২ টার পরে রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা বসে পড়েন। পোস্টার ব্যানার নিয়েও হাজির হন অনেকেই। দুপুর গড়াতেই সিবিআই সদর দফতরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। নিজাম প্যালেসের পর রাজভবনের সামনেও চলে বিক্ষোভ। এখানেই শেষ নয়,নিউটাউনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করে তৃণমুল কর্মী সমর্থকরা। তবে বৃহস্পতিবার অতিগুরুত্বপূর্ণ একটা দিন হতে চলেছে রাজ্যের চার হেভিওয়েটের জন্য। নারদ-মামলা এরপর জল কোন দিকে গড়ায়, তার দিকে তাঁকে কেন্দ্র-রাজ্য।


 

Share this article
click me!