রাজীব কুমারের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের উদাহরণ টেনে আনলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। রাজীব কুমারের আগাম জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি আদালতে বলেন, অর্থনৈতিক অপরাধেক সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পি চিদম্বরমের মতো ব্যক্তিত্বকেও জামিন দেয়নি আদালত। রাজীব কুমারও একই ধরনের আর্থিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলেই এ দিন আলিপুর আদালতের শুনানিতে দাবি করেন সিবিআই-এর আইনজীবী কে সি মিশ্র। যদিও, রাজীবের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে পলাতক বলে দাবিই করতে পারে না সিবিআই।
প্রায় তিন ঘণ্টা শুনানির পরেও অবশ্য এ দিন রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদনের রায়দান স্থগিত রেখেছে আলিপুর আদালত। সম্ভবত রবিবার এই মামলার রায়দান হবে। ফলে এখনও অস্বস্তি কাটল না রাজীব কুমারের। তাঁকে ধরতে আরও কিছুটা সময় পেল সিবিআই-ও।
আরও পড়ুন- রাজীব নাকি এখানেই ভর্তি, জল্পনা বাড়িয়ে হাসপাতালে হানা সিবিআই-এর, দেখুন ভিডিও
আগাম জামিনের আবেদন করে আলিপুর আদালতে শুক্রবার নতুন করে আবেদন করেন রাজীব কুমার। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে প্রত্যাশিতভাবেই সিবিআই-এর আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, রাজীব কুমার পলাতক। বার বার সিবিআই তাঁকে হাজিরা দিতে বললেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এই প্রসঙ্গেই রাজীবের অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে পি চিদম্বরমের মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিবিআই-এর আইনজীবী। পরে তিনি বলেন, পি চিদম্বরমও আর্থিক অপরাধে জড়িত ছিলেন। সেই একই ধরনের অপরাধে যুক্ত রাজীব কুমারও। তাই তাঁরা আশাবাদী, চিদম্বরমের মতো রাজীবের জামিনের আবেদনেও সাড়া দেবে না আদালত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
রাজীবের আইনজীবী অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, অগস্ট মাসের ২৮ তারিখেই রাজীব কুমার চিঠি দিয়ে সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি। তার পরে সিবিআই ডাকলেই হাজিরা দিতে পারবেন। ফলে, এর পরে কীভাবে সিবিআই রাজীব কুমারকে পলাতক হিসেবে দেখাচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজীব কুমারের আইনজীবী গোপাল হালদার। তাঁর আরও প্রশ্ন, কলকাতা হাইকোর্ট রাজীবের গ্রেফতারির উপরে স্থগিতাদেশ না দিলেও তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেনি। সেখানে কীভাবে রাজীব কুমারকে এখন সাক্ষীর বদলে সারদা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআই দাবি করছে,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গোপালবাবু।
আদালতে যখন রাজীব নিয়ে সওয়াল- জবাব চলছে, তখন পুলিশকর্তাকে ধরতে আদালতের বাইরে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার হাসপাতাল থেকে ভবানী ভবনও, আইপিএস অফিসারের খোঁজে এ দিন একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই-এর একাধিক দল।