সারদা কাণ্ডের সময় রাজীব কুমার ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তা। আর তাঁর ডান হাত ছিল ডিসিডিডি অর্নব ঘোষ। সারদা তদন্তে গতি আনতে অর্ণবকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআই-এর তরফে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করা হল।
রাজীব কাণ্ডে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সিবিআই-কে যথেচ্ছ ঘোরাচ্ছেন রাজীব। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ মাথার ওপর থেকে উঠে যাওয়ার পর তাঁকে হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই-এর কাছে ধরাই দেননি প্রাক্তন নগরপাল। দিনভর অপেক্ষা করিয়ে পরে দূত মারফত জানিয়েছেন, সরকারি ছুটিতে আছেন তিনি। তাঁকে দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্ত রাজীবের নাগাল পাওয়া পর্যন্ত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে চায় না সিবিআই। বরং তাঁরা এগিয়ে রাখতে চাইছে তথ্যপ্রমাণ। এই জন্যেই তলব অর্ণব ঘোষকে।
শুধু অর্ণব নয়, সিবিআই দ্বিতীয়বার নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশের অফিসার দিলীপ হাজরাকেও। তাঁকে (দিলীপ হাজরা) আগেও ডেকেছিল সিবিআই। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেননি দিলীপ।
আরও জানুনঃ রক্ষকবচ তুলল আদালত, সু্প্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার
প্রসঙ্গত অর্ণব ঘোষের বিরুদ্ধে শাসক ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ নতুন নয়। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল কমিশনও। তৃতীয় দফা ভোটের আগে তাঁকে মালদহের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয় রাতারাতি।
আপাতত সারদা কাণ্ডের জাল দ্রুত গোটাতে তাকেই চাইছে সিবিআই। সিবিআই-এর কাছে খবর গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে সিট-কে পথ দেখিয়েছে এক প্রাক্তণ সিবিআই অফিসার। সেই বিষয়েও অর্ণব ঘোষের কাছে জানতে চাইতে পারে সিবিআই। একই সঙ্গে থাকছে রাজীবের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও। রাজীব ঘনিষ্ঠ অফিসাররা যত বেশি জালে জড়াবে রাজীবে বিপদ ততই বাড়বে, সাফাই দেওয়ার সুযোগ কমবে। কাজেই রাজীবকে ক্রমাগত নার্ভের চাপে রাখার জন্যেও এই ছক সাজিয়েছে সিবিআই।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিবিআই দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন অর্ণব ঘোষ।