করোনা রোগীর জন্য় তিন ধরনের ব্য়বস্থা, কী বলছে কেন্দ্রের নির্দেশিকা

Published : Apr 17, 2020, 12:04 AM IST
করোনা রোগীর জন্য় তিন ধরনের ব্য়বস্থা, কী বলছে কেন্দ্রের নির্দেশিকা

সংক্ষিপ্ত

কোভিড রোগীর জন্য় বিশেষ হাসপাতালের পরামর্শ  নতুন নির্দেশ অনুসারে তৈরি হবে তিন ধরনের ব্যবস্থা কোভিড কেয়ারে রাখা হবে সাধারণ উপসর্এগের রোগী বাকিদের নিয়ে কী ব্য়বস্থার কথা বলেছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক

সব জায়গায় সম্ভব নয় করোনার চিকিৎসা। দেশে দ্রুত হারে করোনা  রোগীর সংখ্য়া বাড়তে দেখে কোভিড রোগীর জন্য় বিশেষ হাসপাতালের পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। নতুন নির্দেশ অনুসারে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিন রকমের স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এগুলি হল কোভিড কেয়ার, কোভিড হেলথকেয়ার এবং কোভিড হাসপাতাল। কারও শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও উপসর্গ কম দেখা দিলে তাঁকে কোভিড কেয়ারে রাখা হবে। একই ভাবে কারও উপসর্গ মাঝারি হলে এবং অক্সিজেনের সাপোর্ট প্রয়োজন হলে তাঁকে কোভিড হেলথকেয়ারে রাখতে হবে। কিন্তু  কারও শারীরিক অবস্থা মাত্রাতিরিক্ত খারাপ হলে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে রাখা হবে।

দেশের করোনা সংক্রমণ রুখতে ছয় মেট্রোপলিটান শহরকেই রেড মার্কিংয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। বিগত কদিনে মৃত্যুর হার আক্রান্তের সংখ্য়ার নিরিখে  কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদকে লাল তালিকায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখানেই শেষ নয়, দেশের ১৭০টি জেলাকে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। 

কেন্দ্রের তালিকা বলছে, হটস্পট হওয়া জেলা বাদে দেশে আরও ২০৭টি জেলা হটস্পট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের এই রেড মার্কিংয়ে নাম রয়েছে জয়পুর এবং আগ্রারও। মোট ১২৩টি জেলাকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে দিল্লির ৯টি জেলা সামিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,  'হটস্পট' বা 'রেড জোন' বলতে যেখানে চারদিনেরও কম সময়ে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়েছে সেইসব জেলা বা শহরকেই ধরা হয়েছে। এছাড়াও দেশের যেসব অঞ্চলে ৮০ শতাংশ সংক্রমিত জেলা বা শহর তাকে 'হটস্পট' বা 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই হটস্পটের মধ্যে কাজ করবে  বিশেষ স্বাস্থ্য় কর্মীদের দল। তারাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা সমীক্ষা করবে। তবে শুধু করোনা পরীক্ষাউই নয়, এইসব জোনে যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি)-তে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরও খুঁজে বের করবে এই স্বাস্থ্য় কর্মীদের দল। আগামী ২৮ দিন এই হটস্পটগুলিতে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ থাকবে।

করোনা আক্রান্তরা সুস্থ না হওয়া পর্য়ন্ত এই নিষেধাজ্ঞা উঠবে  না।  গ্রামের ক্ষেত্রে এই হটস্পটের পরিধি হবে তিন কিলোমিটার। তার বাইরে সাত কিলোমিটার পরিধির একটি অঞ্চলকে বলা হবে বাফার জোন বা অরেঞ্জ জোন। এর বাইরেও রয়েচে এপিসেন্টার হওয়ার আতঙ্ক। কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের বিচারে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনগুলিই চিহ্নিত করবে কোন এলাকাগুলি করোনার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে। যেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই জায়গাগুলিই এপিসেন্টার হিসাবে ধরে নেওয়া হবে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন হুমায়ুন কবীর, রাজভবনে বিশেষ সেল চালু রাজ্যপালের