হিসেব মিলল না সোমবারও। রাজ্য় সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের রিপোর্টে পার্থক্য় থাকল ৪২ জনের। সন্ধের পর রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর জানিয়েছিল, রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। তবে মৃতের সংখ্য়া সাতের বেশি বাড়েনি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১৫২ জন। ইতিমধ্য়েই ২৯ জন সেড়ে উঠেছেন। তবে মৃতের সংখ্য়া রাজ্য়ের সঙ্গে কেন্দ্রের ফারাক হয়নি।
আইসোলেশন কেবিনে টলিউড অভিনেত্রীর বাবা, অক্সিজেনের সঙ্গে চলছে ইনসুলিন.
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ৯১৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে একইসঙ্গে সুস্থও হচ্ছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্রের কাছে যা কিট রয়েছে, তাতে আরও ৬ সপ্তাহ নির্বিঘ্নে করোনা টেস্ট করা যাবে। এমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব কুমার।
এদিকে সোমবার স্বাস্থ্য় দফতরের করোনা বুলেটিনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য়ে এখনও ২৭৯৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ৪২২ জন। ৩৯,১৭৮ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখে হয়েছে। ইতিমধ্য়েই নিজেদের হোম আইসোলেশনের সময় অতিক্রম করেছেন ১৭২৯৪ জন। এছাড়াও হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ২২৭০জন। ইতিমধ্য়েই অবশ্য় হাসপাতলের আইসোলেশনের সময়সীমা শেষ করে করেছেন ১৮৪৮ জন।
পর্যাপ্ত করোনার কিট থাকতেও যথেষ্ট নমুনা পাঠাচ্ছে না রাজ্য়, বলছে খোদ নাইসেড.
যদিও রাজ্য় সরকারের এই করোনার পরিসংখ্য়ান নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য় এই রিপোর্টকে পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা বলে মন্তব্য় করেছেন। টুইটারে তিনি বলেন, সব জায়গায় এটা প্রমাণিত সত্য় ,যে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ রাজ্য় সরকারের রিপোর্টে তার প্রতিফলন নেই। রাজ্য়ের মানুষকে প্রকৃত তথ্য়টাই জানানো হচ্ছে না। এর জন্য় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পুরোপুরি দোষী।
মোদীর ডাকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বিপাকে, ঝাড়গ্রামের চিকিৎসকদের পাশে বাবুল..
তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্য়ে কথা বলার অভিযোগ এনেছি বিজেপি। দলের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তথ্য় পরিসংখ্য়ান দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য় সরকারকে পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনার কিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ ব্যবহারই করা হচ্ছে না। এবার সেই একই সুর শোনা গেল নাইসেড-এর প্রধান সান্তা দত্তের কথায়। একটি জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংস্থার বিভাগীয় প্রধান বলেন, আমাদের কাছে ২৭,৫০০ করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম রয়েছে। কোনওদিনই এই কিটের ঘাটতি হয়নি। যেহেতু স্বাস্থ্য়ের বিষয়টা রাজ্য় সরকারের হাতে, তাই তারাই বলতে পারবেন কেন কম পরীক্ষা করানো হচ্ছে।