দিল্লিতে নয়- নবান্নেই গেলেন আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়, ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র

 

  •  দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল আলাপনের
  • তবে দিল্লি না গিয়ে নবান্নে এলেন তিনি
  • শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র
  •  এদিন মমতার যশ-বৈঠকে আলাপন

Ritam Talukder | Published : May 31, 2021 8:38 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 12:19 AM IST


সোমবার সকাল দশটাতেই দিল্লিতে রিপোর্চ করার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ অবধি দিল্লি যাননি তিনি। একটু আগেই তাঁকে নবান্নে ঢুকতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই যদিও 'আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ছাড়ছে না রাজ্য' এই মর্মে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন মমতা। তবুও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, কেন্দ্রের বদলির নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

 আরও পড়ুন, 'নির্বাচন হেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্র-এটা কি দরকার ছিল', 'আলাপন' ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল-অধীর  

 

 

ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নবান্নে এদিন বেলা তিনটে থেকে একটি বৈঠক রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দেবেন আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন দুপুর তিনটেয় হবে ওই বৈঠক। উল্লেখ্য,  প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দীর্ঘ ৫ পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা। কেন এই মুহূর্তে আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের রিলিজ অর্ডার দিতে পারছে না , তাও চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠির শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে মমতার অনুরোধ জানিয়েছেন, 'আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দিল্লিতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র।' প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যসচিব  আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘূর্ণিঝড় যশ পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই,  কেন্দ্রে থেকে রাজ্যকে এই আদেশ পাঠানো হয়েছিল। 

আরও পড়ুন, নারদ মামলা কি সরবে ভিনরাজ্যে, আজ কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি 

 

এরপরেই প্রশাসনিক মহল থেকে শাসক দলে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোস। মমতা বলেছেন,' রাজ্য়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশ জারি করার আগে রাজ্য়ের সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি। কেন্দ্রের একতরফা নির্দেশে আমি হতভম্ব, স্তম্ভিত। এই নির্দেশ বেআইনি, নজির বিহীন এবং অসাংবিধানিক। রাজ্য়ের জনস্বার্থে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক।' 

Share this article
click me!