এখনই দিতে হবে না এপ্রিল-মে মাসের বাড়তি বিল,গ্রাহকদের চাপে পিছু হটল সিইএসসি

  • বাড়তি বিলের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এল সিইএসসি
  •  আপাতত এপ্রিল-মে মাসের বাড়তি মাশুল দিতে হবে না  
  •  কেবল জুন মাসের বিল দিতে হবে তাদের
  • বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিল জমা দেওয়ার সময়সীমা

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2020 5:24 PM IST

গ্রাহকদের চাপে এবার বাড়তি বিলের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এল সিইএসসি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে,আপাতত এপ্রিল-মে মাসের বাড়তি মাশুল দিতে হবে না  
সিইএসসি উপভোক্তাদের। কেবল জুন মাসের বিল দিতে হবে তাদের। পাশাপাশি গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিল জমা দেওয়ার সময়সীমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই খবর জানিয়েছে সংস্থা।

একই সঙ্গে তারা লিখেছে,জুন মাসের ইউনিট খরচ গ্রাহকদের পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। কীভাবে বিলের টাকা দিতে হবে, সেটাও পরে জানাবে সিইএসসি। এ বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এতকিছুর পরও চিন্তা কমেনি গ্রাকদের। 

কারণ সিইএসসির কথাতেই পরিষ্কার হয়নি অনেক কিছুই। আগের দু’মাসের বকেয়া বিল কীভাবে গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হবে তা নিয়ে খোলসা করেনি সংস্থা। কেবল বলা হয়েছে, শেষ যে বিল পাঠানো হয়েছে তার জমার তারিখ অর্থাৎ বিল জমা করার সময়সীমা বাড়ানো হবে। তবে এটা শুধুই ডোমেস্টিক কানেকশনের জন্যই প্রযোজ্য  তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসে ইলেকট্রিক বিল পেয়ে অনেক সিইএসসি গ্রাহকেরই মাথায় হাত পড়েছে। কারণ নতুন বিলে বিপুল পরিমাণ টাকার বোঝা চাপিয়েছে সংস্থা। খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রী ঘরেই ১১ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। বাড়তি বিল নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন টলিউডের একাধিক পরিচালক থেকে অভিনেতা। পরে প্রবল চাপের মধ্য়ে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। আগে সংস্থার  তরফে জানানো হয়, জুন মাসের বিলের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের বিলের অংশও যুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে লকডাউন চলায় মিটার রিডিং হয়নি বলে অনেকের কাছেই কম টাকার বিল গিয়েছিল। 

কদিন ধরেই সিইএসসির এই বাড়তি  বিল নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রহকরা। সংস্তার অপিসে যাওয়া ছাড়াও সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই নিয়ে জোর প্রতিবাদ শুরু হয়। কেন সিইএসসির এই আচরণে চুপ রয়েছে মমতার সরকার, তা নিয়েও প্রকাশ্য়েই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। শেষে বেগতিক দেখে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে সিইএসসির এমডি (ডিস্ট্রিবিউশন) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় গ্রাহকদের জানান, গ্রাহকেরা এখন বিলের ৫০ শতাংশ দিয়ে, পরের দু’মাসে ২৫ শতাংশ করে দিতে পারবেন। তবে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শেষে আপাতত বাড়তি বিলকে ঠান্ডা ঘরে পাঠাল সিইএসসি।

Share this article
click me!