সমাবর্তনে আমন্ত্রণ নয় কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ ধনখড়ের

  • সমাবর্তনে ব্রাত্য রাজ্যপাল তথা আচার্য
  • পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ জগদীপ ধানখড়ের
  • কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি
  • আগামী শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 13, 2020 12:56 PM IST

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শোকজ করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি, এমনকী প্রোটোকল ভাঙায় উপাচার্যকে অপসারণের দাবিও তুলেছেন। বৃহস্পতিবার টুইট করে রাজ্যপাল নিজেই একথা জানিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত আচার্যের চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আগামী শুক্রবার নির্ধারিত দিনেই সমাবর্তন হবে।

এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তো হাতেগোনা। রাজ্য সরকার অনুমোদিতই হোক কিংবা নিয়ন্ত্রণাধীন, পদাধিকার বলে  বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। নিয়মানুসারে, আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও 'ব্রাত্য' থাকলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।  বুধবার টুইট করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। 

 


বৃহস্পতিবার, সমাবর্তনের আগের দিন কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শোকজের চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল তথা আচার্য।  উপাচার্যের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত তিনি শোকজে চিঠি পাননি। তাই জবাব দেওয়ার প্রশ্ন ওঠেনি। এর আগে সমাবর্তনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন উপাচার্য। বলেন,  নিয়ম মেনে রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। 

 


উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বিক্ষোভের কারণে আটকে যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান অনুষ্ঠানও। শেষপর্যন্ত উপাচার্যের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একই ঘটনা ঘটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সমাবর্তনে যোগ না দিয়েই ফিরে যেতে হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

Share this article
click me!