৪৮ এ পড়ল ইসকনের রথযাত্রা। প্রতি বছরের মতো এবারও ইস্কনের রথের রশি টেনে রথাযাত্রার সূচনা করলেন মমতা। রাজ্য জুড়ে হানাহানি আর হিংসের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
প্রতিবারেই রথযাত্রার শুভসূচনায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট অন্য বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই আলাদা। সদ্য শেষ হওয়া ভোটে শাসকদলের জয়ধ্বজ্জা অনেক ম্লান হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে ভোটের পরে শুরু হওয়া বেনজির হিংসা আর হানাহানি ঘুম কেড়ে নিয়েছে প্রশাসনের। আসছে সংখ্যালঘু আক্রান্ত হওয়ার মতো খবরও।
এই আবহেই সম্প্রীতির বার্তা দিতে রথের অনুষ্ঠানকেই বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে রাখলেন বসিরহাটের নতুন সাংসদ তথা নববধূ নুসরত জাহানকে। বলাই বাহুল্য, দিন কয়েক আগে ফতোয়া জারি হয়েছিল নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। ইস্কনের অনুষ্ঠানে তাঁকে মঞ্চে রেখে বরাভয়ের বার্তাই দিতে চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তোষণের অভিযোগ আর হানাহানির জোড়াফলার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মূল অস্ত্র বিভেদের বীজ উপড়ে ফেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জয়গান রচনা।
আরও পড়ুনঃ রাতে রিসেপশন নুসরতের! ফতোয়ার তোয়াক্কা না করে মমতার সঙ্গে ইসকনে রথের দড়ি টানলেন সাংসদ
রীতি-নীতি ও ঐতিহ্য মেনে আজ পুরীতে রথযাত্রা উৎসব
ইস্কন থেকেই চলল মায়াপুরে সরকারি কাজের স্তুতিও। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, রাজ্য সরকার ৭০০ একর জমি দিয়েছে ইস্কন টাউনের জন্যে। মায়াপুর আর নবদ্বীপকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমরা আজও পরিদর্শক পাঠিয়েছি মায়াপুরকে দেখে রিপোর্ট দিতে। অনেকেই বলছেন মমতার এদিনের শরীরী ভাষা আসলে রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া গেরুয়া স্রোতের প্রতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। হাতে রয়েছে অল্প সময়। ছুটতে হবে মাহেশ। তার আগে জিলিপি আর পাপড়ভাজা খাওয়ার পরামর্শ দিতেও ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।