গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সে। এক আত্মীয়ের বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে মিলল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল টালিগঞ্জের বাঁশদ্রোণীতে। পরিবারের লোকেদের দাবি, পরীক্ষায় ফল খারাপ হওয়ায় মা-বাবার বকুনি খেয়েই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গহশিক্ষক পড়াতে আসতেন জেঠুর বাড়িতে। রোজকার মতোই শনিবার সকালেও টিউশনি পড়তে গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি। কিন্তু গৃহশিক্ষক চলে যাওয়ার পরও সে আর বাড়িতে ফেরেনি। তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। ঘটনাটি যখন বাড়ির লোকেদের নজরে আসে, তখন তাঁরা খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। কিন্তু ওই কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত তার জেঠুর বাড়িতেই একটি বন্ধ ঘরের দিকে নজর পড়ে সকলের। পরিবারের লোকের দাবি, সেই ঘরেই ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি! টালিগঞ্জের বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: পার্কস্ট্রিটে চলন্ত বাসে তরুণীর শ্লীলতাহানি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতা
জানা গিয়েছে, এবার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর। নিজে হাতে লিখে রেজাল্টে নম্বর বদলানোরও চেষ্টা করে সে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, মেয়ের কারসাজি ধরে ফেলেন বাবা-মা। ঘটনাটি জানতে পেরে যান জেঠুও। বাড়িতে বকা খেতে হয় ওই কিশোরীকে। মৃতার বাবা-মা-এর দাবি, বকা খাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল তাঁদের মেয়ে। আত্মহত্যা করেছে সে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।