প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)স্থলভাগে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে । ক্ষতিগ্রস্থ ২০ হাজার বাড়ি এবং ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাঁধ। সকালে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, যশের জেরে দিঘাতে ওয়াচ টাওয়ার ছাপিয়ে জলোচ্ছ্বাস, ভাসছে গাড়ি, বন্ধ করা হল শহরের ফ্লাইওভার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঘন্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিমি বেগে হাওয়া বইবে। ভরা গঙ্গায় জলস্তর বাড়বে। কলকাতার একাধিক এলাকায় গঙ্গার জল ঢুকবে। তার জন্য অবশ্য ব্যবস্থা করা আছে। উপকূল এলাকায় ঘন্টায় ১৩০ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ হতে পারে। নীচু এলাকায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৫ টি বাঁধ ক্ষতির সম্মুখীন। গোসাবার গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই অবধি ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যদিও পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্য বলেছেন, 'সবাইকে অনুরোধ করব, একটু কষ্ট করুন।'
আরও পড়ুন, 'যশ'-র জেরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নামল ৫ ডিগ্রি নীচে
প্রসঙ্গত, প্রবল শক্তি নিয়ে ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। যশের ভয়ঙ্কর রুপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে ভরা কোটাল। কারণ একে সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা এবং তার উপর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের জেরে যশের আরও শক্তি প্রদর্শনের সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টার মধ্যে যশ (Yaas) ল্য়ান্ডফলের সময় ঘূর্ণীঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভবানা রয়েছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় হাওয়া বইছে এবং বৃষ্টি বাড়ছে। যার জেরে নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।