উদ্বেগের আবহেই মমতার করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা। অনেকেই বলতে থাকেন করোনার কবলে পড়ছে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই এই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটালেই মমতা নিজেই। তার সাফ দাবি, “আমার কোভিড হয়নি, অযথা জল্পনা করে খবর করলেই তো হবে না।”
করোনার আতঙ্কে জেরবার গোটা বাংলা(coronavirus Fear in Westbengal)। অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ থেকে আম-আদমি করোনার কামড় থেকে মুক্তি মিলছে না কারোরই। সদ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী(Director Raj Chakraborty), বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়(BCCI President Sourav Ganguly) সহ আরও অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। এদিকে এই উদ্বেগের আবহেই মমতার করোনা সংক্রমণ(Mamta's corona infection) নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা। অনেকেই বলতে থাকেন করোনার কবলে পড়ছে মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee)। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের(Press conference in Navanna) শুরুতেই এই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটালেই মমতা নিজেই। তার সাফ দাবি, “আমার কোভিড হয়নি, অযথা জল্পনা করে খবর করলেই তো হবে না।” এবার মমতার এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
অন্যদিকে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একগুচ্ছ তথ্য তুলে ধারার পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত খবর পরিবেশন নিয়ে সাংবাদিকদের ধমক দিতে দেখা যায় মমতাকে। বৈঠকে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়িয়ে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “নেগেটিভ খবর কম দেখান। আতঙ্ক কম তৈরি করুন। কোভিড পজেটিভিটি রুখতে পজেটিভ খবর দেখান মশাই।” সেই সঙ্গে বাংলায় উল্কার গতিতে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সাধারণ মানুষকে খানিক আশ্বস্ত করতে দেখা যায় মমতাকে। তাঁর কথায়, “বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হলে বাড়ির সদস্যরা বাড়িতেই থাকুন এই রোগটা মারাত্মক নয়, কিন্তু দ্রুত ছড়াচ্ছে এটাই ভয়ের। তবে সামান্য জ্বরে ভয় পাবেন না, ভালো করে খাওয়া দাওয়া করুন। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। মাস্ক-গ্লাভস ভালো করে পরুন।”
অন্যদিকে এদিন করোনা আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশ থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি বিভাগের যে সমস্ত আধিকারিকেরা করোনা কবলে পড়েছেন তাদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি। একইসঙ্গে সরকারি বেসরকারি সমস্ত ক্ষেত্রেই নতুন করে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোডে জোর দেওয়ারও কথা জানাতে দেখা যায় তাঁকে। তবে রাজ্যের করোনা টিকাকরণ চিত্র যে এখনও উদ্বেগজনক তা মমতার পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সহজ কথায় এখনও রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি। সেখানে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭ জন। এরমধ্যে একটি করে ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটির বেশি মানুষ। পাশাপাশি আশার কথা এই যে রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার রয়েছে ৯৬.৮৫ শতাংশ। একইসাথে মোট কন্টেনইমেন্ট জোন ৪০৩টি। একইসঙ্গে ১৯৪টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করে কোভিড মোকাবিলায় কাজে লাগানো হচ্ছে।