উত্তরাখণ্ডে পাঁচ বাঙালি পর্যটকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন সকালে টুইট করে বাংলার ওই ৫ পর্যটকের মৃত্যু দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
উত্তরাখণ্ডে পাঁচ বাঙালি পর্যটকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন সকালে টুইট করে বাংলার ওই ৫ পর্যটকের মৃত্যু দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, 'উত্তর কাশী যাওয়ার পথে তেহরি অঞ্চলে বাংলার ৫ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। তাঁদের পরিবার ও পরিজনদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই।'
উত্তরাখণ্ডে মৃত ওই পাঁচ বাঙালি পর্যটকের মধ্যে রয়েছেন গড়িয়ার একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের পুত্র। মৃতরা হলেন মদনমোহন ভুইঞ্চা, ঝুমুর ভুইঞ্চা এবং নীলেশ ভুইঞ্চা।কেদারতাল বেড়াতে যাবার পর তাঁদের গাড়িতে থাকা গ্যাসসিলিন্ডার ফেটে যায় বলে খবর। গাড়িটিতে তৎক্ষণাৎ আঘুন ধরে যায় বলে খবর। তারপর সেটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এছাড়াও নৈহাটির দেবমাল্য দেবনাথ, ব্যারাকপুরের প্রদীপ দাসও ওই গাড়িতে ছিলেন। তাঁদেরও এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই ৫ জনের দেহ এইমস হৃষিকেশে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, জঙ্গিদের গুলিতে নিহত কাশ্মীরের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, গুরুতর জখম ১০ বছরের আমরিনার ভাগ্নেও
উত্তরাখণ্ডে ওই পাঁচ বাঙালি পর্যটকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, 'উত্তর কাশী যাওয়ার পথে তেহরি অঞ্চলে বাংলার ৫ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। তাঁদের পরিবার ও পরিজনদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই।'মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন,' গতকাল রাত থেকেই আমাদের প্রশাসনিক কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইমএস হৃষিকেশে মৃতদেহগুলি রাখা হয়েছে। এ রাজ্য থেকে মৃতদের আত্মীয় পরিজনদের দিল্লি এবং সেখান থেকে হৃশিকেশে পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা যাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারে, সে বিষয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
অপরদিকে, সদ্য ওড়িশায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইটারে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, এটা জানতে পেরে খুবই দুঃখিত যে ভাইজ্যাক যাওয়ার পথে, বাস দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ৬ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার উদয় নারায়নপুরের সুলতানপুর থেকে ২৩ মে পর্যটকদের নিয়ে একটি বাস ছাড়ে। গন্তব্য ছিল ভাইজ্যাক।মোট ৬০ জন ঘুরতে যাচ্ছিল ওই বাসে, বলে খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে দারিংবাড়ি ফেরার পথে বাসটি নিয়ন্ত্রন হারায়। তবে কোনওরকমে বাসটিকে সমতলে নিয়ে আসেন বাস চালক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ওড়িশার গঞ্জামের ভঞ্জনগর এলাকায় অর্থাৎ সমতলে পৌছতে গিয়ে পর্যটক বোঝাই বাসটি উলতে যায়।
আরও পড়ুন, ওড়িশায় মোবাইল চুরির শাস্তি, 'চোর'-কে ট্রাকের সামনে বেঁধে গাড়ি স্টার্ট দিল চালক
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমাদের প্রশাসন দ্রুত ওড়িশার আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে। মৃতদের দ্রুত ময়নাতদন্ত এবং আহতদের জন্য চিকিৎসা-সহ তাঁদের এরাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব, বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট এবং বিধায়ক উদয়নারায়নপুরের নের্তৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল ওড়িশায় যাচ্ছে।' উল্লেখ্য, ভাইজ্যাক ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বাড়ি ফেরা হল না বাংলার ৬ পর্যটকের। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জনকে ইতিমধ্যেই ওড়িশার গঞ্জমের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজে প্রথমে হাত দেয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয়েছে হাওড়ার উদনারায়নপুরের ৫ জনের।