রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে শেষকৃত্য করা হবে নিমতলা মহাশ্মশানে। তাঁর আগে এদিন বেলা ১২ নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিধানসভায়। পুস্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে (WB Minister Sadhan Pande ) শেষকৃত্য করা হবে নিমতলা মহাশ্মশানে। তাঁর আগে এদিন বেলা ১২ নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিধানসভায়। পুস্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এছাড়া এদিন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে মরদেহকে পুস্পস্তবকদিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সুজিত বসু, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
উল্লেখ্য, মুম্বই থেকে রাতের বিমানেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে সাধন পাণ্ডের মরদেহ। এরপর বিমানবন্দর থেকে সোজা দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে। সারারাত সেখানে শায়িত ছিল দেহ। এদিন সকালে তাঁকে পুস্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এছাড়া এদিন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে মরদেহকে পুস্পস্তবকদিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সুজিত বসু, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদরা। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্য বিধানসভার সদস্যরা ও তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। বেলার দিকে নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই সোমবার রাজ্যের সব সরকারি দফতর ও স্কুলে অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্য়ের ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরে মন্ত্রী সাধন পান্ডে। সেবার ভেন্টিলেনে পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোটের প্রচারের জন্য বেরোনোর প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি আচমকাই তার শরীর খারাপ হয়। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হল না। রবিবার মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার।
আরও পড়ুন, রাতের বিমানে কলকাতায় এল সাধন পাণ্ডের মরদেহ, আজ নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য
সাধন পাণ্ডে সামলেছেন এ রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। উত্তর কলকাতার অপরাজিত বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। টানা ৬ বার জিতেছেন বটতলা কেন্দ্র থেকে। ২০১১ সালে মানিকতলা কেন্দেরে তিনি জয়ী হন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জুলাই মাস নাগাদ ভেন্টিলেশনে ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তাঁর। রক্তচাপ , হার্টবিট অনিয়মিত চলছিল। বাবার আরোগ্য কামনায় মন্দিরে পুজো দেন সেবার তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। পরে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন। রাজ্যের বাইরে থাকেন শ্রেয়া। মূলত বাবার অসুস্থতার খবর পেয়েই কলকাতায় ফেরেন তিনি। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হল না। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিধানসভা।