ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন সিপি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এদিকে বুধবার সকালেই পুলিশ সূত্রে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুর গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা হত্যাকাণ্ডে, ব্যবসায়ী খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়েছে ধর্মতলার ম্যানহোলের পাশ থেকে।ইতিমধ্য়েই পুলিশ ওই মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করছে। তবে ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে খোলসা করলেন সিপি বিনীত গোয়েল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন সিপি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এদিকে বুধবার সকালেই পুলিশ সূত্রে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুর গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা হত্যাকাণ্ডে, ব্যবসায়ী খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়েছে ধর্মতলার ম্যানহোলের পাশ থেকে।ইতিমধ্য়েই পুলিশ ওই মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করছে। তবে ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে খোলসা করলেন সিপি বিনীত গোয়েল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
এদিন ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিপি বিনীত গোয়েল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যেমন বললেন, এঘটনায় পরিচিতরা কেউ জড়িত থাকতে পারে। আমাদেরও সেরকমই মত। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারব। তবে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব হবে না।' অন্য দিকে বিনীত গোয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন পুলিশ এর থেকে বেশি কিছু বলবে না। কারণ তদন্তের স্বার্থে সব কিছু সামনে আনা যায় না। তথ্য থাকলে তদন্তের কিছু প্রসেস থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ অবধি সব তথ্য বাইরে আনা যাবে না।আমি তো কিছু বলতে পারব না। কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নই।তবে যেদিন এঘটনা ঘটে, সেদিন রাতেও আমি এই দম্পতির ছোট মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এই নিয়ে আমার রোজ ১৫ থেকে ২০ বার কথা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন, 'অসুখ ঢাকতে ফের অসুখ', এসএসসি নিয়োগ নিয়ে সওয়াল বিচারপতির, সিবিআই-কে নথি পাঠানোর নির্দেশ
লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ এবং ফরেন্সিক বিভাগ সমানভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, শাহ পরিবার সবসময়ই দরজায় তালা দিয়ে রাখতেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে পরিচিত কি কেউ এসেছিলেন, যাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল ওই গুজরাটি পরিবার।পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বছর ৫৬-র অশোক শাহ-র দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, সেই সময় তিনি ছিলেন খালি গায়ে। পরনে ছিল শুধু একটি হাফ প্যান্ট। শরীরে একটি বড় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই অনুমান সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি বছর ৫২-র স্ত্রী রশ্মিতা শাহের শরীরে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন, মাদলের তালে তালে মমতা, আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, ওই গুজরাটি ফ্যামিলির বাড়ির একটি দরজা বন্ধ থাকলেও অপরটি ছিল খোলা। এমনকি ঘরের মধ্য়ে টিভি চলছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল খাবার। একনজরে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই ঘরেই খুন হয়েছেন ওই গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রেশমি। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ভাল করে খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, খুনের আগে আততায়ীর সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তি হয়েছে ওই দম্পত্তির। তবে গোটা এলাকায় ১০০ বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তাকারীরা। এদিন ব্যবসায়ী খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়েছে ধর্মতলার ম্যানহোলের পাশ থেকে।ইতিমধ্য়েই পুলিশ ওই মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করছে। যদিও এখনও মোটিভ স্পষ্ট নয়।