সংক্ষিপ্ত
নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এসএসসিতে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কর্মরত সিদ্দি গাজী নামে এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ ইতিমধ্য়েই দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার এই মামলার নথি সিবিআই-কে পাঠানোর পাশাপাশি রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। তবে তা সামলাতে না সামলাতেই এসএসসি দুর্নীতি নিয়োগের মামলায় নাম জড়িয়েছে আরও এক শিক্ষকের। এসএসসিতে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কর্মরত সিদ্দি গাজী নামে এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ ইতিমধ্য়েই দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার এই মামলার নথি সিবিআই-কে পাঠানোর পাশাপাশি রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
মূলত যারা চাকরি পাননি, অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তাঁদের জন্য সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে, এমনটাই আগে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এর আগে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এদিন বিচারপতি বলেন, 'এটা আসলে একটা অসুখকে ঢাকতে ঢেকে আনা হচ্ছে।' বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, 'এই সব নিয়োগ করার সময়, নতুন করে কোনও দুর্নীতি হবে না, সেই প্রতিশ্রুতি কে দেবেন।' এদিন সিদ্দি গাজী নামে ওই শিক্ষকের মামলার নথি সিবিআই-কে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
আরও পড়ুন, মাদলের তালে তালে মমতা, আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এসএসসিতে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিদ্দি গাজি নামে এবার এক কর্মরত অঙ্কের শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এসএলএসটি নবম এবং দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন সিদ্দি গাজী। কিন্তু মামলাকারী অনুপ গুপ্তার অভিযোগ, তার থেকে অনেক পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর।তালিকায় তার থেকে ৭৫ জনের পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর। অথচ তাঁকেই চাকরি দেওয়া হয়ে, বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন, ধর্মতলার ম্যানহোল থেকে মিলল গুজরাটি দম্পতির ফোন, ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। এতদিন অবধি তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই দফায় তা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে জানানো হয়েছে। আর এতসবের মধ্যেই শুক্রবার প্রকাশ্যে আসে, স্কুলের চাকরি যাওয়ার পর কলেজের অধ্যাপনার দিকে পা বাড়াচ্ছেন অঙ্কিতা। নিউটাউনের আসন্ন ভবনে ২৬ এপ্রিল ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছেন তিনি। তবে তারপরেই বিতর্ক শুরু আগেই ইন্টারভিউ স্থগিত রাখে কলেজ সার্ভিস কমিশন। তবে এবার নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।