হাসপাতালে বেড না পেয়ে কিশোরের মৃত্যু,মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা নেই বললেন অধীর

  • হাসপাতালে বেড না পেয়ে কিশোরের মৃত্যু
  • মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা  চাইতে বললেন অধীর চৌধুরী
  • কলকাতায় তিন হাসপাতাল ঘুরে বেড পায়নি কিশোর
  • এ বিষয়ে আরও কী বলেন কংগ্রেসেরএই নেতা

 

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2020 1:25 AM IST

হাসপাতালে বেড না পেয়ে কিশোরের মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা  চাইতে বললেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। এ বিষয়ে সরাসরি মমতাকে আক্রমণ করে তিনি  বলেন,এখনও মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা নেই। একজন ১৮ বছরের তরতাজা যুবক বিনা চিকিৎসায় মারা গেল, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়-অস্বাভাবিক!এর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। মা তার এক রতি ছেলের দেহ পেতেও আর্তনাদ করে গেল অথচ মেডিকেল চত্বরে  প্রশাসন সেইদিকে দেখলো না। এই ঘটনাই প্রমাণ  করে সরকার ব্যর্থ। তাই মানুষ নিজেরা সতর্ক হোন, নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেরা করুন । কারণ সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করবে না। তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই তরতাজা যুবকের মৃত্যু।

বিনা চিকিৎসায় ছেলের মৃত্যু নিয়ে যখন অধীর চৌধুরী সরব হয়েছেন তখন হাল ছাড়লেন না ওই তরুণের মা। ছেলের মৃত্যুর তদন্তে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা শ্রাবণী চট্টোপাধ্য়ায়। কী করে কোনও হাসপাতাল পাঁচ মিনিটে কোভিড রিপোর্ট তৈরি করতে পারে তার তদন্ত চাইলেন তিনি। এ বিষয়ে বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে 'কোল্ড ব্লাডেড মার্ডারের' অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।  

সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৩টি হাসপাতালে ঘোরার পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক তরুণের। নর্থ ব্যারাকপুর পুরসভার ৬ নম্বরের ওয়ার্ডের নেতাজি পল্লিতে থাকত শুভ্রজিৎ চ্যাটার্জি(১৭) নামের ওই তরুণ। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, শ্বাসকষ্টের কারনেই  তরুণকে নিয়ে ইএসআই হাসপাতালে দেখাতে যান তারা। তখন তার জ্বর, সর্দি, কাশি কিছুই ছিল না। 

রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায় তার শরীরে মাত্রাতিরিক্ত সুগার। হৃদ যন্ত্রে সমস্যা আছে। তাই এই রোগীর আইসিসিইউ প্রয়োজন। সেখান থেকে রেফার করা হয়  বেলঘড়িয়া মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে। সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রক্তের নমুনা নিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে কোভিড পজেটিভ রিপোর্ট দিয়ে ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বেলঘড়িয়া থানার  ওসিকে ফোন করলে তিনি জানান, এটা তার বিষয় নয়।

এরপর সাগরদত্ত সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পর তার মা শ্রাবণী চ্যাটার্জি আত্মহত্মার হুমকি দিলে তরুণকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ৩টি বেড খালি। রোগীকে বেড পর্যন্ত বাবা-মা নিয়ে যান। পরে মৃত্যুর খবর আসে। পরে রাত দশটা নাগাদ ছেলে মারা গেছে বলে জানায় হাসপাতাল।তারা ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও ফোনে পাননি।

এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক মলয় ঘোষ বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এলাকার মানুষও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই ছেলের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে পরিবার। মৃতের মার প্রশ্ন মাত্র ৫ মিনিটে কীভাবে কোভিড টেস্ট সম্ভব? করোনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের সাহায্য নিতে বলেন। সেখানে পুলিশ কীভাবে দায়িত্ব এড়াতে পারে? এই ঘটনায় আজ বেলঘড়িয়া থানায় বেলঘড়িয়া মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ও অভিযুক্তদের চিহ্নিত তাদের ছেলেকে কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার-এর অভিযোগ তুলেছেন মৃতের মা শ্রাবণী চ্যাটার্জি।  

Share this article
click me!